Breaking News

কবিতা

রবিবারের কবিতা, অরিন্দম ভাদুড়ী

ভূলে বিসরে গীত ———————- হয়তো আবছা হতে হতে মিলিয়ে যাব একদিন, তুমি নতুন সংসার তুমি স্বামীর সোহাগ তুমি অপত্যস্নেহে। হয়তো আবছা হতে হতে মিলিয়ে যাব একদিন, কিছু পড়ন্ত বিকেলে জেটি থেকে উড়ে যাওয়া পরিযায়ী পাখিটার মতো; কালেভদ্রে কোনো হেমন্তের বিকেলে মদের গন্ধ নাকে এলে মনে পড়লেও পড়তে পারে, অথবা পারে …

আরও পড়ুন »

রবিবারের কবিতা, রঙ্গীত মিত্র

  রঙ্গীত মিত্র   পরিত্যক্ত পুকুর ——————– ভাঙা পাঁচিলের পিছনের অতীত মধ্যরাতে বাদুড়ের সঙ্গে কথা বলে। বাস্তুসাপ মেপে নেয় ছায়ার দূরত্ব যদিও ছায়ার কোনও রং থাকে না। শুধু হারিয়ে যাওয়া কোনও নির্বোধ হাত তাকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিল, পুকুরে। এখনো কান পাতলে আর্তনাদ শোনা যায় বড় দেরি হয়ে গিয়েছিল। পরিত্যক্ত পুকুর …

আরও পড়ুন »

আজ লোকটার ভেতরে শীত, বাইরে পৌষ, সব্যসাচী হাজরা’র কবিতা

সব্যসাচী হাজরা লোকটা-১ দঙ্গলভাইরা কোথাও জেগে থাকে শ্মশানের ম্যাপে আগুনের ভাইহো চলার হুবহু বলো থাকেনা থাকেনির বিয়েতে আমাদের পোড়ানো হ’লে লিঙ্গছাই লাগানোভস্ম উপহারে পাবে দাঁত পর্যন্ত কাটা পড়লো লোকটার হাসি- লোকটার হারানো মহারাজ রোজকার ঘন মানুষে আলো ফোটানোর কারসাজি আমরা মানুষটানা প্রকৃতি দেখে গাছ লাগাতে পারি এক শ্রাবণ বাজানো বাজ …

আরও পড়ুন »

রবিবারের কবিতা, কিশোর ঘোষ

 কিশোর ঘোষ চলুন বেড়িয়ে আসি ছুটি কি শালুকফুলের মূল? পিংলার পলিউশনহীন তারা? রাতের মতোন দিন পার হয়ে যে রাতে পৌঁছলাম আমরা! এখানে চাঁদই ছাঁদ, জ্যোৎস্নার ডানায় পাখি উড়ে বসে গতজন্মে… আর মাটির আজানের মতো সহজ মসজিদ সকাল ওড়ায় হাওয়ায় দুই শিশু-ঘুড়ি এবং হাঁস ডুব দিল জলে, জল ডুব দিল হাঁসে …

আরও পড়ুন »

রবিবারের কবিতা, কমলেশ পাল

কমলেশ পাল করবীকে দেখো করবী সকল পাতা হলুদ বানিয়ে বসে আছে। আমি যে কালকে ওকে সবুজ রঙের সতেরোটা অ্যাক্রেলিক টিউব দিলাম… সেগুলো কি হতচ্ছারি হারিয়ে ফেলেছে? নাকি ওকে বদরাগি চাঁড়াল সূর্যটা ঠাসঠাস করে কটা থাপ্পড় মেরেছে অকারণ… নাকি ঘূর্ণি খামচে ছিঁড়েছে ওর চুল? করবীর অভিমান বিমর্ষ-হলুদ চিরদিন। কন্যার বিমর্ষ ধুতে …

আরও পড়ুন »

‘অফুরান গোলাপ নিয়ে চুলের ফিতে বুনছি’, ৩টি কবিতা, মৌমিতা পাল

 মৌমিতা পাল: মওকা বুঝে এসেণ্সবুড়ি ফুটপাথে ঘুমোক ভালোবাসা নিপাত যাক দৃশ্যত কামাতুর রাতে দূরত্বে প্রেম কাছে এলে অর্গাজম বাজে বচ্ছরকার বেনো জলে প্রেমিকের নাটুকে প্রেমে সোনার ল্যাজ গড়ে প্রেমিকের প্রেমিকার মুখ আয়নাকে অতিক্রম করতে করতে লম্বা চিঠি লিখেই দেব ,মনোটনি প্রস্তুত হও প্রিয়তম ,প্লেটোকেও চিনে রাখো পারলে সম্ভব হলে মেট্রোর …

আরও পড়ুন »

কাঁদবেন বলে ছুটি চাইলেন কবি! ধর্ষিত বিষাদ-অক্ষর কিশোর ঘোষের কলমে

 কিশোর ঘোষ কান্নাবান্না কী সব ঘটে যায়, অফিসের দিকে তাকিয়ে ভাবি, অফিস আমার দিকে কড়কড়ে হাসে, কী সব ঘটেই চলে… হলুদ রাস্তা প’ড়ে রাস্তার পাশে, রাস্তা পায়নি বলে ‘কী সব’ ঘটিয়ে ফেলেছে! ফুল তুলতে আসা সাজি, ধর্ষণ করল পুজোকে, দুঃখের সিন্দুক থেকে দু’ফোটা চোখ ঝরে পড়ল শহরে দু’দিনের জন্যে! # …

আরও পড়ুন »

‘মুখে মুখ দিয়ে ছিনিয়ে নিচ্ছি চুম্বন আর ভাত’, কবিতাগুচ্ছ, সবর্না চট্টোপাধ্যায়

 সবর্না চট্টোপাধ্যায় খিদে কিছুটা স্তব্ধ হলে ভাবি কিভাবে কেটে যাচ্ছে রাত। মুখে মুখ দিয়ে ছিনিয়ে নিচ্ছি চুম্বন আর ভাত! আচমকা ধাক্কা দিলে যতটা চমকে উঠি, তুমি যেদিন অস্বীকার করেছিলে, ভূমিকম্পে চূর্ণ হল মাটি। অথচ কিভাবে ফ্যাকাশে হতে হতে আমিও বুঝে নিলাম আসলে যৌনতা কী! কিছুটা বর্গক্ষেত্রের ভুলে পরিসীমা আর ক্ষেত্রফলের …

আরও পড়ুন »

রবিবারের কবিতা, কমলেশ পাল

 কমলেশ পাল:   কী জানি চন্দনচুয়া কী জানি চন্দনচুয়া চুনেতে খয়ের চুমুতে নারীকে আর রাঙাতে পারি না জাঁতি ভোঁতা, পুরুষাঙ্গ কুচাতে পারি না আদরিনী পানপাতা ভালবাসা চায় চুনখয়েরের সাথে জর্দা গুয়া চায় না পেয়ে বিক্ষুব্ধা নারী যজ্ঞে চলে যায় কী যে করি? বৃদ্ধদশা সুপারি বর্তুল শঙ্খফুঁকে যতো পারো প্ররোচিত করো …

আরও পড়ুন »

কবির প্রলাপ! ‘জেন্ডারলেস পৃথিবীর দর্শন’

 সৈকত ঘোষ   জেন্ডারলেস পৃথিবীর দর্শন সিঁড়ি ভাঙা অঙ্কগুলো ফ্যাকাসে বেগুনি কিংবা লাল। লালচে সকাল পেরিয়ে নেশাবন্ধনী, আগুন ছুঁয়েছে অসম নীলাচল। জানলায় বিমূর্ত কন্টিনিউয়াস। আমি সমুদ্র খুঁজেছি। সেলুলয়েডে চোখের নুন। যেটুকু তোমার ভাস্কর্য, যেটুকু উজান দু-এক দানা চিনি আপাত মিছিল থেকে খুঁটে নেয় হাইব্রিড শিরোনাম # আমি রোদ চিনেছি, সম্পর্ক …

আরও পড়ুন »

রবিবারের কবিতা, মিহির সরকার

 মিহির সরকার মৃত  চন্দ্রবোড়া তখন আমাদের নিত্য-নতুন ভাঙা-গড়ার খেলা আমাদের নিয়ে বাতাসে বাতাসে রঙিন গল্প-বেলা আমরা বায়ু, আমরা আগুন, আমরা নতুন প্রথা দিগন্তজুড়ে ধানক্ষেত আর ঘরের অন্নদাতা। রাক্ষস তাড়াই, ভাঙি রোজ, ভূতের যত ঘর আমরা তখন ভগবানেরও ভীষণ ভয়-ডর আলোর রথে, আঁধার-ঘোড়ায় আমরা যাযাবর গভীর রাতে দুনিয়া কাঁপানো আমরা তুফান-ঝড় …

আরও পড়ুন »

রবিবারের কবিতা, দীপান্বিতা সাধুখাঁ

 দীপান্বিতা সাধুখাঁ:   শুভ জন্মদিন প্রিয়, কেমন আছো? ভালো থাকো সব সময় এই কামনা করি। চিঠি লিখছি আজ একটা বিশেষ দিন। তোমার জন্মদিন। শুভেচ্ছা নিও আমার। আজ হৃদয়ের ভিতর থেকে দীর্ঘশ্বাস আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে। কেন জানো ? এমন দিনে তোমার পাশে আমি থাকতে পারিনি বলে। নীশিথের জ্যোৎস্না আমাকে অনেক কাছে …

আরও পড়ুন »

রবিবারের কবিতা, বিশ্বজ্যোতি সুর

 বিশ্বজ্যোতি সুর   নতজানু ছোট ছোট লড়াই হেরে গেছি প্রচুর, বারংবার নতজানু হয়েছি উদ্গ্রীব অশ্বের সম্মুখে। তুমিই তো শিখিয়েছ কিভাবে মেনে নিতে হয় ভাঙচুর, তবে কেন আজও বলো ইশারায় পার হতে সমুদ্র বহুদূর? আবছা কুয়াশা ভেবে যেখানে রেখেছি হাত, অন্ধকার চুপিসারে হেঁটে আসে—বিকেল চলে গেছে এই ভ্রুকুটিতে থেমে যেতে বলে। …

আরও পড়ুন »

দীর্ঘ কবিতা, কিশোর ঘোষ

 কিশোর ঘোষ   নীল পরির গল্প কিছু গুহ্যকথা, এলোমেলো… কতো দুপুরের বাথরুমে ফোটা ফোটা মাফিয়া-স্নানের চিহ্ন পড়ে আছে… লাজুক অন্তর্যামীর ফসলে ভরা, সে অন্য জগৎ সেই অতৃপ্ত-পৃথিবীর আত্মা দেখেছি আমি আধমরা রাত্রির নদীর চরে— মানুষের অসমাপ্ত প্রতিলিপি পোড়াচ্ছে আরেক মানুষ! এসো, মন দিয়ে সেই ইতিহাস খুঁড়ি বেদনার সঙ্গে চেতনার অস্থি-কঙ্কালের …

আরও পড়ুন »

অরুণাভ রাহারায়-এর কবিতা

 অরুণাভ রাহারায়   উড়ান সে জানে রাত্রির গুহা, স্রোতের তপস্যা জল ছাড়া কেউ বুঝি হাসি হতে পারে! সে কেবল বইতে জানে, জেগে ওঠে চরে। বৃষ্টির আবহ তাকে ধাতু জ্বেলে দেয় নদীতে বিষণ্ণ ভাসে মাছের করোটি এই রাতে ভালো নয় কাদের চরিত্র? কাদের কাদের সঙ্গে সন্ধ্যার সাঁতার? খুব বেশি দূরে নয় …

আরও পড়ুন »

অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা

 অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় লেখবুদ্ধ প্রত্যেক মানুষের গভীরতম অরণ্যে বসে আছি নির্জনহৃদয়ের বোধিবৃক্ষের নিচে করি ধ্যান অপটু সাধক। চক্ষু নাই, মুখ বেঁকে যায়, চোয়ালের হাড়ে জঙ ধরে দিনে দিনে কখনও মনে হয়, ডান উরুর ওপর দিয়ে চলেছে সারিবদ্ধ পিঁপড়ে শৃঙ্খল। কিন্তু নড়ি না। কখনও মনে হয়, সাপের ঠান্ডা খোলোস পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে উঠছে …

আরও পড়ুন »