পার্থসারথি পাণ্ডা : যেভাবে শিশির ছুঁয়ে আস, সেভাবেই হাত পেতে রই; জলস্রোত ভেসে চলে যায়, তোমাকে ছোঁয়ার ভাষা কই? দিনভাঙে শিমুলের বনে, রাতের কিনারে রাখি শ্বাস; সুজাতা, আমূল জেগে আছি– ওষ্ঠাধরে পরমান্ন আশ…
আরও পড়ুন »পাশবিক
ইন্দ্রনীল সান্যাল : বৈশাখের দুপুর দু’টোর চাঁদিফাটা গরম সহ্য করে একদল বেকার পাবলিক কলেজ স্ট্রিটের রেলিং-এ কনুই রেখে মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা দেখছে। এত মন দিয়ে লোকে ভারত পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ ছাড়া কিস্সু দেখে না। অমলও দাঁড়িয়ে গেল। মেডিক্যাল কলেজ থেকে মায়ের ডেথ সার্টিফিকেট পেতে দুঘন্টা দেরি আছে। ততক্ষণ …
আরও পড়ুন »শোভাবাজারের গঙ্গাকে
বারিষওয়ালা : তুমি তাদের ঘুম-পিয়ানো সেজো যারা তোমায় চোখ পাকিয়ে ডাকে। স্ট্রাপবিহীন ও বুকেই ঘুমায় যে জন স্ট্রাপ আঁটা বুক হলেও কি সে থাকে? তুমি তাদের সোহাগ করে শোয়াও বিড়ালছানার দাঁত, নখ ঘাড়ে বিঁধে। উপরওয়ালার কাছেই তো চাও দোয়া পেটের ভিতর মরুক ভাতের খিদে… তুমি তাদের শরীর বেয়ে …
আরও পড়ুন »গল্প শেষে
ঋষভ মন্ডল : আজ হ্যান্ডব্যাগ নিয়েই শপিং মলে ঢুকলাম। মলের নাম রেট্রো। কলকাতার পুরনো এবং নামী মল। শেষ পাঁচদিন ধরে রোজ একবার করে আসছি। আগে মিলিটারিতে ছিলাম। কাশ্মীরে পোস্টিং ছি্ল। এখন রিটায়ার্ড। তাই কলকাতাই আসা। আমার সংসার-পরিবার তেমন কেউ নেই। ফ্যামিলি বলতে ওই বিশ্বস্ত চাকর কালু। . কাশ্মীর এলাকাটা …
আরও পড়ুন »তিনটি কবিতা
নবনীতা ঃ প্রেম তুই ছিলিনা আমিই ছিলাম। একটা হাত আমার ছিল। অন্য হাতেও আমিই ছিলাম। অপেক্ষা মৃত্যু, আসলে জোর করে না। অনুমতি চায়, কেড়ে নেয় না । একলা একা হতে হতে , ফিরে গেলাম । ঠিক সেখানে জন্মে গেলাম । যেখান থেকে হারিয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন »মেয়েটি
মধুমন্তী : সে হয়তো পার্ক স্ট্রিট বা কামদুনি সে হয়তো খরজুনা বা দিল্লি সে হয়তো বারাসত বা রানাঘাট সে ছড়িয়ে রাজপথ থেকে অলিগলি। সে রয়েছে নতুন সূর্যোদয়ে সে রয়েছে পাখির কাকলিতে কিন্তু পিষে সমাজ নাগপাশে সে বন্দি তার লোহায় গড়া দেশে। সে …
আরও পড়ুন »জানালা-৪৪
কমলেন্দু সরকার : সন্ধ্যা নামলে জানালাটা খুলে রাখি সব আলো নিবে গেলে চাঁদ এসে আলো দেয়। পাতাঝরা শীতের শেষে ফাগুন আসে বৃদ্ধ্ব বটবৃদ্ধ্ব শিকড় নামিয়েছে জানালার গভীরে জানি সে কথা। খারাপ লাগে না জানালার ধারে দাঁড়াতে অনেক বছরই তো কেটে গেল কত গল্প শুনে, ঋতু বদলের খেলা দেখে। …
আরও পড়ুন »তথাগত : মেঘ মুখোপাধ্যায়
মেঘ মুখোপাধ্যায় : খাবার ও খিস্তি যুগপৎ আসে। শ্রমিক দিবসের বিকেলে সোনাগাছির সামনে দাঁড়িয়ে , এই পংক্তিটি মাথায় এল সিদ্ধার্থের। মাথা উঁচু ক’রে বাঁচার নেশায় মেতে সে জেনেছে , উন্নতশির ব্যাপারটা কী ভয়ানক! কী মারাত্মক! ডানলপ মোড়ের এক বাতিস্তম্ভ , একদিন সন্ধেবেলা তাকে শিখিয়েছিল মাথা নীচু করার উপযোগিতা। নিকটজনকে আলো …
আরও পড়ুন »অন্য বর্ষা অন্য গান : শিবশঙ্কর
শিবশঙ্কর : আকাশ নামবে শ্রাবণ-বাতাস বেয়ে এই শ্রাবণের মেঘের ভেতর কান্না আছে অনেক কাহার খবর এনেছ আজ তোমার কান্না বয়ে! ও মেঘ তুমি আমার বাড়ি এস তোমার সঙ্গে আলাপ জমবে বেশ , পা ছড়িয়ে তোমার সঙ্গে বসে শুনব আমি তাহার কথা তাহার দেশের কথা — ভাসবে মাটি ভাসবে আমার দেশ, …
আরও পড়ুন »ব্যথা : নন্দিনী সেনগুপ্ত
নন্দিনী সেনগুপ্ত : অনেক পেয়েছ ব্যথা, অনাবশ্যক যতিচিহ্নে। অরণ্য কারো কাছে, তোমারও- আর কোনও ঋণ নেই। যূথচারী কুঠারেরা ধেয়ে যায় ঝড় শেষ হলে- নিথর শিকড়হাত- জানবে না খুন কাকে বলে। সময় বছরশেষে বৃত্তের রেখা এঁকে যায়। সে শরীর ছুঁয়ে বসি- তবুও থাকে না কোনও দায়। হিসেব লিখেছ তুমি, বাতাসেই ফিরিয়েছ …
আরও পড়ুন »রাতজাগার গান : শিবশঙ্কর গুপ্ত
শিবশঙ্কর গুপ্ত : এতক্ষণে প্রহরীরা ক্লান্ত হয়ে ফিরে গেছে ঘরে, প্রহরার বাঁশিতে ঘুম পাড়িয়ে পাড়া, দিনের খেলাশেষের হুইসল্ বাজিয়ে চলে গেছে মনে হয়। এইবার তুমি আমি একান্তে বসি চল নির্জন গৃহকোণে। অবশিষ্ট নক্ষত্রদের আলোয় যথেষ্ট উজ্জ্বল হবে তোমার আমার মুখ হে একান্ত রাত্রি আমার , তোমার অপেক্ষায় কাটিয়ে দিই সারাটা …
আরও পড়ুন »