দেবক বন্দ্যোপাধ্যায়
পাত্রীর বয়েস ৫১ আর পাত্রের ৬১।
এইটুকু পড়েই ভাবার দরকার নেই যে এই লেখা টা দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদার বিষয়ক।
আচ্ছা, দিলীপ ঘোষের কথা যখন উঠল তখন তাঁর বিকেলে ভোরের ফুল নিয়ে কয়েকটা শব্দ খরচ করছি।
v
বিশিষ্ট সাংবাদিক জয়ন্ত চৌধুরী আজ, শুক্রবার, গুড ফ্রাইডে ও দিলীপ-রিঙ্কুর বিয়ের দিন সমাজ মাধ্যমে একটি জরুরি বিষয় উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, তপন শিকদার, অর্থাৎ বিজেপির একদা রাজ্য সভাপতি, সুরসিক ও টেনিস অন্ত প্রাণ ‘তপনদা’ দিলীপের মত সাহস দেখাতে পারলেন না। সহধর্মিনীসম বান্ধবীকে বিবাহ করতে পারলেন না। রাজনীতির পরিসরে শুধুমাত্র তপন শিকদার নন, এমন আরও অনেকে আছেন যাঁরা এই কাজটি করে দেখাতে পারেননি। আজীবন একজন মহিলার সঙ্গ করেছেন। শুধুমাত্র শরীর নয় মনও দিয়েছেন কিন্তু কী যেন কী কারনে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারেননি। যাঁরা বিবাহিত তাঁদের কোথায় আটকেছে সেটা বুঝতে অসুবিধে হয় না।
তাঁদের প্রেমিকারাও নিজেদের সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়ে সিঁদুর-রাঙা হতে চাননি। মনে মনে কি কখনও চাননি? শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো মেয়েদের মন বোঝার ক্ষমতা না থাকলে সে কথা বলা মুশকিল। যাই হোক রাজনীতির অঙ্গনের সেইসব দিদিরা যাঁরা বৌদি হতে পারলেন না তাঁদের দীর্ঘশ্বাস অমর হয়েই থাকবে!
শোনা যায়, এঁদের মধ্যে কেউ প্রেমিকের সন্তানের মা হয়েছেন। প্রেমিক গোপন ভাবে সেই সন্তানকে স্বীকার করেছেন কিন্তু…
দিলীপ ঘোষ করে দেখিয়েছেন। ভালোবাসলে তা সমাজের সামনে স্বীকার করার বুকের ছাতি যে তাঁর আছে ৬১ বছরের হিন্দু নেতা তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি কি পারতেন না আর পাঁচজনের মতো চালিয়ে যেতে? দিলীপ ঘোষ সে কাজ করেননি। কাঠখোট্টা ইমেজ ধরে রাখতেই বোধায় বলেননি, ভালোবাসি তাই বিয়ে করেছি। বেশ করেছি। মায়ের দোহাই দিয়েছেন। মা বললেন তাই… বুড়ো বয়েসে কে দেখবে তাই… ভালোবাসার কথা বলতে সম্ভবত লজ্জা পেয়েছেন দিলীপ ঘোষ!
যে কথা দিয়ে লেখাটা শুরু হয়েছিল। পাত্রী ৫১ পাত্র ৬১। এঁরা কি সন্তানের জন্ম দিতে পারেন?
দিল্লির এইমস এর বিশিষ্ট গায়নোকোলজিস্ট, বর্তমানে ক্রেডেল ফার্টিলিটি সেন্টারের কর্ণধার ডাক্তার এস এম রহমানের মতে, অবশ্যই পারবেন তবে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে নয়। আইভিএফ পদ্ধতিতে তাঁরা সন্তান নিতে পারবেন। তবে… রহমানের কথায়, এক্ষেত্রে বিজ্ঞান সমস্যা নয়। এই বয়েসে সন্তান নেবার পথে অন্তরায় আইন। কোর্ট অনুমতি দিলে তবেই এই বয়সের দম্পতি পিতা-মাতা হতে পারেন। নচেৎ নয়।