নীল বণিক :
এবারের মত কিল খেয়ে কিল হজম করতে হল রাজ্য বিজেপিকে। কামদুনির মৌসুমি আর টুম্পা বিজেপিকে কথা দিয়ে কথা রাখলেন না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের যদি ডায়রি লেখার অভ্যাস থাকে তাহলে সম্ভবত এই কথাগুলি ডায়রিতে লিখে রাখবেন তিনি।
সত্যি কি বিজেপিতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কামদুনির এই যুগল প্রতিবাদী? বিজেপির উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা সভাপতি দেবাশিষ ভট্টাচার্য তাঁদের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়েই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবেন।আলাপচারিতায় অনেককেই নাকি বিজেপিতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন মৌসুমি। তাহলে তীরে এসে তরী ডোবালেন কেন? দুটি কথা শোনা যাচ্ছে। এক, মৌসুমি দিলীপ ঘোষের থেকে কর্মসংস্থানের আশ্বাস চেয়েছেন। দিলীপ এই ধরনের আশ্বাস এখনই দিতে চাননি। দুই, মৌসুমি -টুম্পার ওপর যাঁদের নিয়ন্ত্রন রয়েছে তাঁরা বিজেপির সমর্থক নন। তারা কারা? অম্বিকেশ মহাপাত্র, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়ের মত বুদ্ধিজীবীরা। শেষ মুহুর্তে এই বুদ্ধিজীবীরাই মৌসুমিদের রাশ টেনে ধরেছেন বলে খবর।
তবে মৌসুমি -টুম্পা ও তাঁদের আন্দোলন যাঁরা প্রথম দিন থেকে কাছ থেকে দেখছেন তাঁদের অনেকের মতে শেষ পর্যন্ত তাঁরা বিজেপিতেই যাবেন। এখন জল মাপার পর্ব চলছে।
আরও পড়ুন ঃ-