চ্যানেল হিন্দুস্থান, সুমন ভুঁইয়া-
সম্পন্ন হলো পঞ্চায়েত নির্বাচন, কিন্তু অনেক প্রশ্ন, যার উত্তর হয়তো কারুর কাছে নেই। একদিনে এত মৃত্যু, একদিনে এত অশান্তি, একদিনে এত রক্ত, তার চেয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছিলেন, ভোট বন্ধ করে দিলেই তো হয়। তাহলে তো এই চিত্র দেখতে হতো না বাংলার মানুষকে।
কি এমন হয়নি আজ, কর্মী খুন থেকে ছাপ্পা, অশান্তি, বোমা, ব্যালট বাক্স চুরি, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিক ভাবে ব্যাবহার না করা, সব যেন সাক্ষী থাকলো ৮ জুলাই। কিন্তু জানেন, ঐই দিন টার আলাদা এক মাধুর্য রয়েছে, আজ সেই মানুষের জন্মদিন যিনি ত্রিস্তর পঞ্চায়েত রূপকথার কান্ডারি। যা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও সিলমোহর দিতে সময় নেয়নি। তিনি হলেন, আমাদের রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, আজ তার ১১০ তম জন্মদিন।
১৯৯২ সালে সংবিধানে নতুন মাত্রা যোগ করেন তিনি। কিন্তু তার জন্মদিনের গণতন্ত্রের হত্যা। যদিও, নির্বাচন কমিশন তরফে জানানো হয়েছে, ২-৪ টা জায়গায় অশান্তি, নাহলে ভোট সুষ্ঠু ভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন, এত ছবি, এত মৃত্যু কি মিথ্যে ? এতো পরিবারের আর্তনাদ সবটাই নাটক ? তার উত্তর কি দিতে পারবেন রাজীব সিনহা।
আদালতের নির্দেশ ছিল, প্রতি বুথে কমপক্ষে ২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতেই হবে, কিন্তু সেই ছবি দেখা মেলেনি বহু বুথে। কোথায়ও ১- ২ রাজ্য পুলিশ, সঙ্গে দেখা গেছে সিভিক ভলান্টিয়ার। তাহলে কি করে নিরাপদে থাকবেন ভোট কর্মী থেকে আম জনতা।
সত্যি বলতে, এমন পঞ্চায়েতের থেকে হয়তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলে হয়তো ভালো হতো, এতে এত মানুষের বলি তো যেত না। দিনের শেষে এত রক্ত, তার উত্তর কি ব্যালট বাক্স ? তার উত্তর কি আদৌ ১১ জুলাই দেখা মিলবে ?