চ্যানেল হিন্দুস্থান, সুমন ভুঁইয়া-
আর কয়েকঘন্টার অপেক্ষা, তারপর গণতন্ত্রের উৎসবে মেতে উঠবে বাংলার জনগণ। কিন্তু সত্যি বলতে, এখন কি আর জনগণের গণতন্ত্র হয় ? নির্বাচন দিন প্রকাশের দিন থেকে গণতন্ত্রের হত্যার মতো বহু ছবি উঠে এসেছে এই বাংলায়।
মনোনয়নপত্র জমার দিন থেকে আজ পর্যন্ত অশান্তির নানান ছবি শিরোনামে উঠে এসেছে। আর আগামীকাল পঞ্চায়েত নির্বাচন, সেই নিয়ে প্রস্তুত সব রাজনৈতিক দল। নিজেদের ইস্তেহার ও ইস্যু তুলে ভোটের প্রচার, মিছিল, সভার করেছে।
কিন্তু এখন একটাই প্রশ্ন, আগামীকালের ভোট আদৌ সুষ্ঠ সম্পূর্ণ ভাবে হবে তো ? আর ঝরবে না তো কোনো কর্মীর রক্ত ? যদিও শাসকদল ও নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে ভোট প্রক্রিয়া। কিন্তু কিভাবে ? ৮২২ কোম্পানির বাহিনী রাজ্যের আসার সবুজ সংকেত পেলেও, ২৪ ঘন্টা আগেও মিটছে না জট।
অন্যদিকে, ভোটকর্মীরাও নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারছে না। আজ একজন পোলিং অফিসার অমিত পিরি ফেসবুক পোস্টের মাধমে জানিয়েছেন, ‘বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা তো দূর অস্ত। একজন মহিলা পুলিশ, এই অবস্থায় আমরা সবাই ভোট করতে যাচ্ছি। কি হবে সেটা ভগবানও জানেন না মনে হয় । আমি অমিত পিরি সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে ভোট কর্মী হিসাবে ভোট নিতে যাচ্ছি। আমার পরিবারের সঙ্গে কোনো ঝগড়া হয় নি, আমি ধূমপান করি না। আমার কিছু হলে তারজন্য দায়ী থাকবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও হাইকোর্ট।’ এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ভোটের আগেই বুথ ঘিরে উঠে এসেছে বহু অভিযোগ, কোথাও ভোটের গুরুত্বপূর্ণ ভোটের কাগজে জল ঢেলে নষ্ট করা হচ্ছে, কোথায় বুথে দেখা মিলছে না, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছিটেফোটা, শুধুই রাজ্য পুলিশ। তাহলে কোথায় মানা হচ্ছে আদালতের রায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় ?
এই আবহে সত্যি শান্তি রেখে ভোট সম্ভব, তা তো সময় বলবে। কিন্তু, আরো এক প্রশ্ন, ভোট এলেই বার বার উঠে আসে, নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন তো ? চুরি হবে না তো ? ছাপ্পা পড়বে না তো। কিন্তু ভোটের আগেও ব্যালট পেপার বেশি ছাপানোর ছবিও দেখেছে বাংলা, কোথাও আবার ব্যালট বক্সে সিল নেই। নানান অভিযোগ, কিন্তু উত্তর যেন মিলবে শনিবারই।