দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় :
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিন নিতান্তই আদালতের বিষয়। তবু রাজনীতি সে কথা মেনেও মানে না। রাজনীতির কুশীলবরা প্রকাশ্যে প্রথাগত প্রতিক্রিয়া দিলেও ব্যাক্তিগত কথোপকথনে তাঁরা এই ঘটনায় টক টক গন্ধ পাচ্ছেন। দিল্লি থেকে কলকাতা পর্যন্ত তৃণমূল বিরোধী অংশে যে কথাটি ঘোরাফেরা করছে, তা হল ‘বোঝাপড়া’। তবে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের বোঝাপড়ার যে তত্ত্ব বাম বা কংগ্রেস কয়েকদিন আগে পর্যন্ত খাড়া করেছে সেখান থেকে একটু হলেও তারা সরে এসেছে। সনিয়া-মমতা বৈঠকের পর বিরোধীরা প্রায় একযোগে মনে করছে যে, শেষপর্যন্ত বিজেপিকে ‘ম্যানেজ’ করতে না পেরেই মমতা সনিয়ার দরজায় টোকা দিয়েছেন। তা হলে সুদীপের জামিন নিয়ে রাজনীতিকদের আড্ডায় ঠিক কি উঠে আসছে? প্রথমত সুদীপ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন। তিনি আর রাজনীতি করবেন না। এমন কথাও নাকি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন সুদীপ।
এদিন তৃণমূল ভবন থেকে বেরোবার সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজে থেকে সুদীপ প্রসঙ্গে কিছু বলেননি। তবে শেষ মুহূর্তে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, সুদীপ দা খুব অসুস্থ। তিনি ফিরে এসে এখন কিছুদিন বিশ্রাম করুন।’ খুব স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলেও মমতার এই বক্তব্যেও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তৃণমূলের অনেকেই। তৃণমূলের অভিধানে বিশ্রাম শব্দটি একেবারেই সুখকর নয়।দলের ছোট বড় অনেকেরই অভিজ্ঞতা এমন। নিয়মিত ডায়ালেসিস করতে হয় এমন নেতাও প্রাণপণ নিজেকে সুস্থ প্রমাণ করতে চান যে দলে, সেই দলে বিশ্রাম মোটেই ভাল কথা নয়। মন্তব্য নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক রসিক নেতার।