নীল রায়।
বিদায়বেলায় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শনিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ নীতির কারণেই রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সমান চোখে দেখা। বিদায়ী রাজ্যপালের এমন মন্তব্যের বেজায় চটেছে শাসক দল। প্রতিক্রিয়া তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বরাবরই বলে এসেছি রাজভবন বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। বিদায়বেলায় রাজ্যপাল এমন মন্তব্য করে সেটাই আবার প্রমাণ করে গেলেন। কিন্তু এখন তো আর তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্যপাল হতে পারবেন না।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিবাদের ঘটনা কোনও নতুন বিষয় নয়। বছর দুয়েক আগে বসিরহাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় রাজ্যপাল ফোন করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব তলব করায় বেজায় চটেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল রাজভবনে বসে সমান্তরাল প্রশাসন চালাতে চাইছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। গত বছর আসানসোলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটলে বেশ কয়েকজন মারাও যান। পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসানসোল যেতে চাইলে রাজ্য সরকার রাজ্যপালকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। ফলস্বরূপ রাজ্যপাল নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে রাজভবন থেকে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছিলেন। সেই বিবৃতির পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। তবে এমন মতানৈক্যের ঘটনা ঘটলেও শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত ৫ বছর চলেছেন বিদায় রাজ্যপাল। কিন্তু মেয়াদকালের শেষলগ্নে রাজ্যপালের গলায় বেসুরো মন্তব্য কিছুটা হলেও বিব্রত করেছে’ তৃণমূল কংগ্রেসকে।