প্রবীর চক্রবর্তী:
ঋ: মীমাংসাশাস্ত্র
কেউ কেউ তোকে দেবদূত ভাবে
তবু মানুষের মতো নরম হাত!
সেবার যখন শুশুনিয়ায়, চূড়ার দিকে
উঠে যাচ্ছি আর পাহাড় বেয়ে
নেমে আসছে আমার ঘাম;
স্মৃতির ওপর নেমে এসেছে গাছেদের ডাল
হারিয়ে যাওয়া হারমোনিয়ামের জন্য তোর কান্না;
চারপাশে ছিল না কোনো দেবতার পায়ের ছাপ!
দেবদূত আর মানব শিশুর মাঝখানে
একটা গন্ধেশ্বরী নদী থাকে
পাড় জুড়ে ধু ধু কাশবন
সে নদীতে স্নানের স্মৃতি তোর সঙ্গেই
শিখে ফেলেছে হাঁটি হাঁটি পা পা…
………………….
ঋ: এক ইশতেহার
প্রিয় বর্ণমালার চারপাশে জেগে উঠছে সকাল,
বহুদিন কোনো এক স্বপ্নের দেশ!
মফস্সলে ছুটে এসেছে সমুদ্র, ফিশফিশ ঢেউ—
আমাদের রোজনামচা তছনছ করে দিচ্ছে
দিগন্তের সূর্য
আলো কুড়োতে কুড়োতে ছোট হয়ে আসে যেমন ছায়া
ছায়াদের স্মৃতি,
অনেক দূরের পাহাড় টিলার ঘর
একদল ভেড়া থাকে সেখানে
তাদের নরম পশমের মতো ঋ আমাকে ছুঁয়ে দেয়
………………………..
প্রবীর চক্রবর্তী-র জন্ম ১৯৮১ সালে। বাবা তারাপদ চক্রবর্তী, মা প্রতিভা চক্রবর্তী। প্রথম প্রকাশিত কাব্যপুস্তিকা ‘প্রেমিকা অথবা পেন্ডুলাম’ (২০১০)-এর জন্য পেয়েছেন দৌড় পুরস্কার। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় ‘সেরে ওঠো সর্পগন্ধা’। এই কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন দ্বৈপায়ন সম্মাননা। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘আমি এবং ফা-হিয়েন’।