Breaking News
Home / TRENDING / দিল্লিতে মুকুলের সঙ্গে বৈঠক করে অভিষেককে বার্তা মমতার

দিল্লিতে মুকুলের সঙ্গে বৈঠক করে অভিষেককে বার্তা মমতার

দেবক বন্দ্যোপাধ্যায়  :

দিল্লিতে মুকুল রায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করলেন।

২১ জুলাইয়ের মঞ্চে মুকুলকে বক্তৃতা দিতে ডাকা হয়নি, অভিষেকও তাঁর বক্তৃতার সময় মুকুল মঞ্চে বসে থাকা সত্ত্বেও মুকুলের নাম মুখে আনেননি। এইরকম রাজনৈতিক আবহে দিল্লিতে মুকুল-মমতা সাক্ষাৎ প্রত্যাশিতভাবেই জল্পনার জন্ম দিয়েছে। এমনিতে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের সঙ্গে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা হওয়ার মধ্যে বিশেষ কিছু নেই। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এখন এমনই যে এই ধরনের আপাত নিরীহ ঘটনার মধ্যে রাজনৈতিক তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন দলেরই অনেকে। দলের একটি বড় অংশ মনে করছে ২১ জুলাই মঞ্চে মুকুল যে-ভাবে অপদস্থ হয়েছেন সেই ক্ষতেই প্রলাপ দিলেন অভিজ্ঞ দলনেত্রী একইসঙ্গে অভিষেক শিবিরকেও বুঝিয়ে দিলেন মুকুলের গুরুত্ব এখনও কমেনি।

দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মমতার পরে ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে ছিলেন তিনজন। মুকুল রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সী। তাঁদের আড়ালে এই তিনজনকেই দলের মধ্যে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর বলা হত। কয়েকবছর আগে মুকুল রায়ের একটি সাংবাদিক বৈঠক এই ভরকেন্দ্রকে দুলিয়ে দিয়েছিল। সেই সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় রেল থেকে আইআরসিটিসিকে বরাত দেওয়ার প্রসঙ্গে মুকুল রায়কে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নের উত্তরে মুকুল সেদিন বলেছিলেন, এই বিতর্কিত বরাতের সময় তিনি বা দিনেশ ত্রিবেদী রেলমন্ত্রী ছিলেন না। সাংবাদিকদের বুঝতে অসুবিধে হয়নি মুকুলের ইঙ্গিত দলনেত্রীর দিকেই যাচ্ছে। এরপর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে মুকুল বিরোধী অংশ মাথাচাড়া দেয়। যদিও দলে মুকুল রায়ের গুরুত্ব বোঝাতে অনেক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিমায় বলেছিলেন, “মুকুলকে তিনি দিনে ৫০০ বার ফোন করেন।”

এহেন মুকুল রায়ের সঙ্গে দিল্লিতে বেশ খানিকক্ষণ ধরে আলোচনায় বসে মমতা ঠিক কী বোঝাতে চাইলেন তা নিয়ে এখন বিস্তর আলোচনা তৃণমূলের বিভিন্ন মহলে। মুকুল রায়ের রাজনৈতিক বুদ্ধি সময় অসময়ে দলকে অনেক বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে। কাঁচড়াপাড়ার ঘটক রোডের বাসিন্দা মুকুলকে মমতা জাতীয় স্তরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ‘ঘটকালি’ করতে ব্যবহার করেছেন। দলের বিভিন্ন সমস্যা নিরবে সামলে গেছেন মুকুল রায়। দলেরই কেউ কেউ মনে করেন পাহাড় সমস্যা হয়তো এই জায়গায় যেত না যদি মুকুল এই সমস্যার রাজনৈতিক মোকাবিলা করতেন কিংবা এই সমস্যার উদ্ভবই হত না যদি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার মুকুল রায়ের হাতে থাকত।

আপাতত অবশ্য তৃণমূলে মমতা-মুকুলের সম্পর্কের রসায়ন কোন পথে যায়, সেদিকেই নজর রাখা ছাড়া অন্য উপায় নেই।

খবরের ভেতরেও থাকে খবর। সেই খবর সহজে পেতে ডাউনলোড করুন channelhindustan – এর ফ্রি অ্যাপ নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে।
https://play.google.com/store/apps/details?id=mk.droid.channelhindustan

লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন

বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন :-

মুকুল দল ছাড়ছেন বলে জোর গুজব, ভিত্তিহীন খবর জানালেন তাঁরই শ্যালক

Spread the love

Check Also

চোরেদের মন্ত্রীসভা… কেন বলেছিলেন বাঙালিয়ানার প্রতীক

ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস : আজ বাংলার এবং বাঙালির রাজনীতির এক মহিরুহ চলে গেলেন। শ্রী বুদ্ধদেব …

আদবানি-সখ্যে সংকোচহীন ছিলেন বুদ্ধ

জয়ন্ত ঘোষাল : লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজে আসবেন। বাঙালি অতিথির আপ্যায়নে আদবানি-জায়া …

নির্মলার কোনও অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনা নেই

সুমন ভট্টাচার্য এবারের বাজেটটা না গরিবের না মধ্যবিত্তের না ব্যবসায়ীদের কাউকে খুশি করতে পারলো। দেখে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *