নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাবা রাধেশ্যাম দাস। প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। শিক্ষকতার সঙ্গে খেলাধুলোর চর্চায়ও চালান। কন্যা সায়নী পেয়েছিল সাঁতার কাটার নেশা। ছোট থেকেই কালনার বারুইপাড়া গ্রামের পুকুরে সাঁতার কাটতেন। চলত হাড়ভাঙা প্র্যাকটিস। পড়াশুনোর ফাঁকেও চলত সাঁতার কাটা।
সাঁতার কাটতে কাটতে দেখতেন স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন অনেক দূরের। ইংলিশ চ্যানেল পেরোনো। পুরীর গভীর সমুদ্রে প্র্যাকটিস করতেন। কিন্তু ইংলিশ চ্যানেল পেরোতে খরচ অনেক। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। তাই হয়েছিল। সাহায্যের হাত অনেকেই বাড়িয়ে দিলেন। এমনকী গ্রামবাসীরাও।
ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়ার জন্য পাড়িও দিলেন সায়নী। সঙ্গে বাবা রাধেশ্যাম দাস। কন্যা ইংলিশ চ্যানেল পেরোনোর সময় পাইলট বোটেও ছিলেন তিনি।
ইংল্যান্ডের ডোভার থেকে ফ্রান্সের কালে ২১ মাইল উত্তাল সমুদ্র। ভয়ংকর বাতাস। জেলিফিশ-সহ সামুদ্রিক জন্তুও রয়েছে। এছাড়াও চোরা স্রোত আর ঘন কুয়াশা। এহেন প্রতিকূল অবস্থায় সাঁতার শুরু করেছিলেন সায়নী। বিশ্বের ক্রস-কান্ট্রি সাঁতারের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ ইংলিশ চ্যানেলের বুকে সাঁতরাতে শুরু করে এগিয়ে চললেন ২০ বছরের বাঙালি মেয়ে সায়নী। চরম আবহাওয়া। একটু ঘুর পথে যেতে হল তাঁকে। মাঝেমধ্যেই জেলিফিশ গায়ে লেগে প্রচণ্ড চুলকানি। হাল ছাড়েননি সায়নী। কোনওদিন হার মানতে শেখেননি তিনি। প্রতিকূল অবস্থাতেই পেরিয়ে গেলেন ইংলিশ চ্যানেল। সময় লাগল ১৪ ঘণ্টা ৮ মিনিট। সায়নী দাঁড়ালেন আরতি সাহা, বুলা চৌধুরীর সঙ্গে এক সারিতে।
ইতিহাসের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সায়নীর অনুপ্রেরণা মাসুদুর রহমান। সায়নীর ইংলিশ চ্যানেল জয় সাধারণ বাঙালি মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে।
খবরের ভেতরেও থাকে খবর। সেই খবর সহজে পেতে ডাউনলোড করুন channelhindustan – এর ফ্রি অ্যাপ নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে।
https://play.google.com/store/apps/details?id=mk.droid.channelhindustan
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন