ওয়েব ডেস্ক:
২০০৮-এ তৎকালীন ইউপিএ সরকারের থেকে বামেদের সমর্থন তুলে নেওয়ার ব্যাপারে পুরোপুরি অন্য মেরুতে ছিলেন সেইসময় লোকসভার অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি দলের সম্পাদক প্রকাশ কারাতের নির্দেশও মানেননি। তাঁকে লোকসভার অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় কানেই নেননি। তাই সিপিএম পলিটব্যুরো সোমনাথকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাতে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি সিলমোহরও দিয়েছিল। পার্টির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও বঙ্গীয় সিপিএমের বিশাল একটা অংশ খুশি ছিল না দলের এই মনোভাবে কিংবা সিদ্ধান্তে।
সীতারাম ইয়েচুরি সম্পাদক হওয়ার পর সিপিএমের পরিস্থিতি অনেকটাই বদলায়। তাছাড়া তৃণমূলের সাফল্যে অনেকটাই কোণঠাসা বঙ্গীয় সিপিএম। কিছু নেতা সোমনাথের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য ভাবনাচিন্তা করতে বলে দলকে। হতে পারে কিন্তু সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে লিখিতভাবে আবেদন করতে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য। রাজি হননি সিপিএমে এই প্রবীণ নেতা। তিনি এখনও বহিষ্কৃতই। তবুও দলের এই দুর্দিনে একটি ভাল অংকের টাকার চেক কেটে আলিমুদ্দিনে সিপিএম পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দেন। এবং সেই চেক খুশি মনেই নিয়েছে দল! একজন ‘বহিষ্কৃত’ নেতার চেক কী নিতে পারে দল! এমন কথায় উঠেছে একাংশের মধ্যে।
আরও পড়ুন :-
Exclusive – ‘শহীদ’ মঞ্চে ‘শহীদ’ পরিবারকেই বঞ্চনা মমতার! বিতর্কে ফুটছে রাজ্য রাজনীতি