চ্যানেল হিন্দুস্থান, নিউজ ডেস্ক-
মনোনয়নের সময়সীমা জটিলতায় পিছোতে পারে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের। মনোনয়নের দিন বাড়তে ভোটের দিন পিছিয়ে যেতে পারে। ২০১৮ সালের পথেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তাব আদালতের।
সোমবার হাইকোর্টে, স্পষ্ট হতে পারে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ। দুটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছে প্রধান টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। কমিশন নিজেদের বক্তব্য জানাবে। আদৌ মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ছে কিনা, সেটাও নির্ধারিত হবে এদিনের শুনানিতে।
ভোটের নিরাপত্তা নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করছে রাজ্য। কেন্দ্রীয় বাহিনী না রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন, সেটা স্পষ্ট করবে কমিশন।
পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয়ে কমিশনের রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে নিজেদের বক্তব্য জানাবে কমিশন।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বলেন, “৭৩ হাজার আসন গোটা রাজ্য জুড়ে। এত কম সময়ে সম্ভব নয়। মনোনয়ন ফর্ম সব জায়গায় যায়নি। ২০ হাজার আসন গতবারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছিল। ৭ জুন কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন। কোন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়নি।
তার মধ্যেই নির্বাচনের ঘোষণা। যা সময় দেওয়া হয়েছে তাতে প্রত্যেকের জন্য ৪০ সেকেন্ড সময় ধার্য হয়েছে। এখন মনোনয়ন বদল হলে বদলাতে হবে নির্বাচনের দিন। সেক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে কি আলোচনার দরকার আছে? ” তিনি আরও বলেন, “আইন অনুযায়ী নির্বাচনের দিন ঠিক করায় রাজ্যকে প্রয়োজন হলেও দিন পরিবর্তনে প্রয়োজন নেই।”
কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যু প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা শুধু সচেতন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করা নিয়ে। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন। আপনাদের প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে। ভিডিয়োগ্রাফি, সিসিটিভি হয়েছে কি? আধাসেনা রাজ্যের পুলিশকে সাহায্য করতে পারে। কমিশন এবিষয়ে এসেসমেন্ট করবে। সেন্ট্রাল ফোর্স এলে সুবিধা হবে।”
প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “ভোটের কাজে রাজ্যের সব পুলিশ চলে গেলে কী হবে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা?” প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করেন, “সিভিকরা পুলিশ নয়। তারা কিছু করবে না।” প্রধান বিচারপতি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার পরামর্শ দেন।