মধুমন্তী
নীল বণিক
রাজনীতির আঁতুড়ঘর বলা হয় যাদবপুরকে। এবার সেই যাদবপুর আবারও উত্তাল হল ছাত্র রাজনীতি নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যালয় অরবিন্দ ভবন। সেখানেই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান বিক্ষোভ কারণ, রাজনৈতিক ছাত্র সংসদের বদলে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল তৈরির কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
সেই নিয়ে সরগরম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
এ প্রসঙ্গে এবিভিপির সভাপতি রমেনকুমার ত্রিবেদীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, “লিংডো কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্যের সর্বত্র কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভোট হোক এটা আমাদের দাবি। কিন্তু সরকার ভয় পাচ্ছে বলে ছাত্র নির্বাচন করছে না। আমরা সরকারের কোনও কাউন্সিল মানব না।”
এসএফআই নেত্রী মধুজা সেন রায় জানান, “ওঁদের নিজেদের মধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। তাই নিজেদের মধ্যে মারামারি আটকে দলকে বাঁচাতেই এই কমিশন গঠন করার একটা উদ্যোগ। যেটাকে এসএফআই মানবে না। এসঅএফআই সমস্ত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতের মতো নির্বাচন চায়।”
“শিক্ষামন্ত্রী যা বলার বলেছে এ ব্যাপারে। শিক্ষামন্ত্রীর কথাই আমাদের দলের কথা”, জানান তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সভাপতি জয়া দত্ত।
২০১৪ ‘হোককলরব’এর প্রেক্ষাপট দেখেছিল গোটা দেশ। রাস্তায় পা মিলিয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। যা নাড়িয়ে দিয়েছিল রাজ্যসরকারের চেয়ার, পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন যাদবপুরের উপাচার্য। সেই রেশ কাটতে-না-কাটতেই আবারও এমন পরিস্থিতি। যদিও সে নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যাদবপুরের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার কারওর কাছে মাথা নত করবে না। সরকারকে ব্ল্যাকমেল করে কোনও লাভ নেই। তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, বরং তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। প্রয়োজনে কোনও সুপারিশ থাকলে তাঁরা সেটা জানাতে পারেন।”
তবে এ বিষয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সংক্ষেপে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে জানান, “যেহেতু আমাদের রাজ্যসরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেহেতু আমার এব্যাপারে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
তবে সরকার নিজের জায়গায় অবস্থান অটল রাখে কিনা সেটা সময় বলবে।
আরও পড়ুন
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন