জ্যোতিস্মিতা রায়
সুলতানপুর পাখিরালয়। ইঁট-কাঠ আর দূষণে মোড়া গুরগাঁওয়ের কান ঘেঁষে দাঁড়িয়ে সবুজবন সুলতানপুর। দিল্লি ও গুরগাঁওয়ের মাত্রাছাড়া দূষণ যখন তাবড় পরিবেশবিদদের কপালের ভাঁজ আরও গাঢ় করছে, তখন শহর থেকে মাত্র ১৫ কিমি দুরের এই পাখিরালয়ের পরিসংখ্যান দেখে মুখে হাসি ফুটছে আর এক দলের। আর হবেনা-ই বা কেন! এবছর শীতে রেকর্ড সংখ্যক পাখির প্রজাতি দেখা গিয়েছে পাখিদের এই অভয়ারণ্যে। গতবছর মাত্র ৫৫ প্রজাতির পাখি এসেছিল এখানে। এবছর তা বেড়ে ৯৮। অভয়ারণ্যের ঠিক মাঝখানে বিশাল ঝিল, যার সীমানা প্রায় ১.২ বর্গ কিমি। এই ঝিলেই এবার শীতে আসর জমিয়েছে প্রচুর স্পট বিল্ড ডাক, মাছরাঙা ও আরও পাখি। ঝিলের পাশের গাছে বাসা বেঁধেছে পেন্টেড স্টর্ক। পাখিদের কলরবে জমজমাট এই ঝিল স্থানীয়দের প্রিয় ঘোরার জায়গা হলেও এর বয়স ১০০ বছরেরও বেশি। যদিও হালে, ১৯৬৯ সালে দিল্লিতে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ কনজারভেশন অফ নেচার’-এর সমাবেশে প্রথম পরিবেশবিদদের নজরে আসে সুলতানপুর ঝিল ও তার পাখিরা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও আইইউসিএন-এর পিটার জ্যাকসনের উদ্যোগে ২, এপ্রিল ১৯৭১ এ সুলতানপুর ঝিল পাখিদের অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। পরে সাধারানা, চন্দু, সুলতানপুর ও সাইদপুর গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয় পাখিরালয়ের সীমানা। তৈরি হয় ওয়াচটাওয়ার, গ্যালারি। রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে যেখানে ধুঁকছে যমুনা তীরের কালিন্দী কুঞ্জ পাখিরালয়। সেখানে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে সুলতানপুর আজ দিল্লী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সবুজ আকাশ।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan