মধুকল্পিতা চৌধুরী
এলাকায় মদের দোকানের সামনেই প্রতিবাদে বসেছিলেন বেশ কিছু সমাজকর্মী। প্রশাসনের তরফে মদের দোকান ওঠানোর পরিবর্তে ব্যাপক মারধর করা হয় ওই মহিলা সমাজ কর্মীদেরই! এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল ওড়িষ্যার কেন্ডাপ্পাডা গ্রামের মানুষ। প্রকাশ্যে এধরণের ঘটনা ঘটায় আবাক সকলেই।
এলাকায় মদের দোকানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। এলাকাবাসীর দাবি, এলাকায় মদের দোকান থাকায় ছোট বাচ্চারাও মদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছিল। শুধু তাই নয়, চালের বিনিময়ে মদ দেওয়া হচ্ছিল বলে দাবি করেন তাঁরা। যার ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়ছিলেন পরিবারের লোকেরা। বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করেন তাঁরা। এরপরেই মদের দোকানের সামনে প্রতিবাদে সামিল হন মহিলা সমাজকর্মীরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। দোকান কর্তৃপক্ষকে কিছু না বলে বিক্ষোভকারীদের মারধর করতে থাকেন তাঁরা। ঘটনায় বেশ কয়েকজন মহিলা আহত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
মদের দোকানের বিরুদ্ধে এর আগেও বহু জায়গায় মহিলারা পদক্ষেপ নিয়েছেন। নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছেন তাঁরা। তবে, ওড়িষ্যার এই ঘটনা দেখে হতবাক সকলেই। একটা বিষয় তো স্পষ্ট যে, এই মদের কারণেই বিভিন্ন জায়গায় হেনস্থার হচ্ছেন মহিলারা। আট থেকে আশি প্রায় সকলেই মদের নেশায় ডুবে যাচ্ছেন। যার ফলে সমাজে বেড়েই চলেছে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, খুন, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। খবরের কাগজ খুললে প্রায় প্রত্যেক দিনই এই ধরণের খবর দেখতে পাই। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে যদি মদের দোকানের প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন মহিলারা তাহলে তো এই ধরণের ঘটনা অনেকটাই কম দেখা যাবে। সেই পদক্ষেপের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন মহিলারা। ঠিক তেমনই এগিয়ে গিয়েছিলেন ওড়িষ্যার ওই মহিলা সমাজকর্মীরাও। প্রশাসনকে পাশে পাওয়ার আশা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রশাসনকে পাশে পাওয়ার পরিবর্তে উল্টে কপালে জুটল লাঠির ঘা!
এই ভাবে কি সমাজকে শুধরানো যাবে? প্রতিবাদীর কন্ঠ যদি রোধ করে দেওয়া হয় তাহলে কি এই সমাজের পরিবর্তন করা যাবে? এমনই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan