ঈষাণিকা ভোরাই
পুলিশবাবুদের সব হল কী!
পুলিশ মন্ত্রীর নির্দেশ মানছে না? এত বড় আস্পর্ধা! শেষ কয়েকটি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী পইপই করে একটা কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি রাজ্য পুলিশের ডিজি কে দিয়েও বার্তা দিয়েছিলেন যাতে সুষ্ঠুভাবে রামনবমী পালিত হয়। যাতে কোথাও অস্ত্র হাতে মিছিল না হয়। কোথাও কেউ অস্ত্র হাতে মিছিল করলে তৎক্ষণাৎ যেন তাদেরকে অস্ত্র আইনে আটক বা গ্রেফতার করা হয়।আসলে মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন বিজেপি বা বজরং দল যাতে অস্ত্র হাতে মিছিল করতে না পারে। কিন্তু কোথায় কী ! রবিবার সারাদিন ধরে জেলায় জেলায় অস্ত্রসহ রামনবমীর মিছিল দেখা গেল। দু-এক জায়গা বাদ দিলে প্রায় প্রতিটা জায়গাতেই সেই মিছিল শেষও হলো। বিজেপির প্রথম সারির নেতারা সেই মিছিলের নেতৃত্বও দিলেন। এখানেই ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর বারণ সত্বেও কিভাবে বিজেপি নেতারা তাদের মিছিল শেষ করতে পারলো ? পুলিস কি করছিল ? মিছিল চলাকালীন কেন কোনও বিজেপি নেতাকে আটক করা গেল না ! ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ক্ষোভ উগরে দিলেন দ:২৪ পরগণার প্রশাসনিক মূল্যায়ন বৈঠকে। সোজাসুজি জানিয়ে দিলেন, যেসব পুলিস এই অস্ত্র মিছিল আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী যখন পৈলানের সভা থেকে এইকথা বলছেন, তখন রানীগঞ্জে সেই রামনবমীর মিছিল কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মারাত্মক আহত হলেন পুলিসের এক আধিকারিক। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর তিরস্কারের পর একাধিক থানায় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল। কিন্তু চোর পালানোর পর এখন বুদ্ধি বাড়িয়ে লাভ কী! রামনবমী নিয়ে বিজেপি কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য সফল করে নিয়েছে। আর পুলিসের ভূমিকা নিয়ে কি বলছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ ? তাদের মতে, রাজনৈতিক আবহাওয়ার রকমফের সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারেন পুলিস কর্মীরাই। তাই কি নির্দ্বিধায় অস্ত্রসহ মিছিল করতে পারলো বিজেপি! উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি পুলিসমন্ত্রী হিসাবে ব্যর্থতার দায় পাস কাটাতেই কী মুখ্যমন্ত্রীর এই তিরস্কার বার্তার কৌশল! উঠছে সে প্রশ্নও।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan