Breaking News
Home / TRENDING / রামচন্দ্র বাংলায় বহিরাগত নন, অপব্যখ্যা বন্ধ হলেই ভাল

রামচন্দ্র বাংলায় বহিরাগত নন, অপব্যখ্যা বন্ধ হলেই ভাল

সুমন সেনগুপ্ত

রামনবমীতে রাজ্য জুড়ে রামভক্তদের উৎসাহের আতিশয্য দেখে অনেকেই শঙ্কিত বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, উত্তরভারতীয় সংস্কৃতিকে বাংলায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গেল গেল রব উঠেছে। তবে রামনবমীকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলি রামকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে সেখানে ধর্ম ও ভক্তির কোনও জায়গা নেই। সত্যি কি রামচন্দ্র বহিরাগত? এক কথায় উত্তর, না। বাংলার সংস্কৃতিতে রামচন্দ্র প্রবলভাবে বিরাজ করছেন প্রাচীনকাল থেকে। কিন্তু সেই রামচন্দ্র উত্তরভারতের মতো বীর রামচন্দ্র নন। বাংলার রাম শান্ত ও সৌম্য। একটা বিষয় মানবেন সবাই, রামায়ণ বাংলায় অসম্ভব জনপ্রিয়। একটা সময় ঘরে ঘরে রামায়ণ পাঠ হতো। গ্রাম বাংলায় এখনও হয়। পঞ্চাশ বছর আগে কলকাতাতেও রামায়ণ পালা হতো। রাম–সীতার গলার মালা নিলাম করা হতো। তবে রামায়ণ যতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল , দেবতা হিসাবে রাম ততটা জনপ্রিয়তা পাননি। তার কারণ হিসাবে পণ্ডিতরা বলেন, শ্রীচৈতন্যের জন্মের পরে বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাবে রামের প্রতিপত্তি কিছুটা কমে। যে কারণে বাংলার অনেক প্রাচীন রামচন্দ্রের বিগ্রহের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষ্ণের নাম। যারা বলছেন রাম বহিরাগত, তাদের জানাই বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে বেশ কিছু প্রাচীন রাম মন্দির রয়েছে। ১৬৭১ সালে বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় বেলুট গোবিন্দপুর গ্রামে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত শ্রী সম্প্রদায়ের রামানন্দের শিষ্যরা রাম মন্দির তৈরি করেন। শোনা যায়, মহাপ্রভু কাটোয়ায় সন্যাস নিতে যাওয়ার আগে রামের বিগ্রহে প্রণাম জানিয়েছিলেন।
রাঢ় অঞ্চলে ধর্ম ঠাকুর ও যোগাদ্যার সঙ্গে জড়িয়ে রামচন্দ্রের মিথ। এমন কী রামকৃষ্ণ ও সারদার গৃহদেবতা ছিলেন রামচন্দ্র। রাম পূজিত হতেন শিলারূপে। অনেক প্রাচীন বাঙালি পরিবারের কুলদেবতা রঘুনাথশীলা। রামচন্দ্র বহিরাগত নন। তিনি বাংলার সংস্কৃতিতেই রয়েছেন। নিবিড় ভাবেই রয়েছেন।রামনবমীতে রাজ্য জুড়ে রামভক্তদের উৎসাহের আতিশয্য দেখে অনেকেই শঙ্কিত বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, উত্তরভারতীয় সংস্কৃতিকে বাংলায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গেল গেল রব উঠেছে। তবে রামনবমীকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলি রামকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে সেখানে ধর্ম ও ভক্তির কোনও জায়গা নেই। সত্যি কি রামচন্দ্র বহিরাগত? এক কথায় উত্তর, না। বাংলার সংস্কৃতিতে রামচন্দ্র প্রবলভাবে বিরাজ করছেন প্রাচীনকাল থেকে। কিন্তু সেই রামচন্দ্র উত্তরভারতের মতো বীর রামচন্দ্র নন। বাংলার রাম শান্ত ও সৌম্য। একটা বিষয় মানবেন সবাই, রামায়ণ বাংলায় অসম্ভব জনপ্রিয়। একটা সময় ঘরে ঘরে রামায়ণ পাঠ হতো। গ্রাম বাংলায় এখনও হয়। পঞ্চাশ বছর আগে কলকাতাতেও রামায়ণ পালা হতো। রাম–সীতার গলার মালা নিলাম করা হতো। তবে রামায়ণ যতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল , দেবতা হিসাবে রাম ততটা জনপ্রিয়তা পাননি। তার কারণ হিসাবে পণ্ডিতরা বলেন, শ্রীচৈতন্যের জন্মের পরে বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাবে রামের প্রতিপত্তি কিছুটা কমে। যে কারণে বাংলার অনেক প্রাচীন রামচন্দ্রের বিগ্রহের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষ্ণের নাম। যারা বলছেন রাম বহিরাগত, তাদের জানাই বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে বেশ কিছু প্রাচীন রাম মন্দির রয়েছে। ১৬৭১ সালে বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় বেলুট গোবিন্দপুর গ্রামে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত শ্রী সম্প্রদায়ের রামানন্দের শিষ্যরা রাম মন্দির তৈরি করেন। শোনা যায়, মহাপ্রভু কাটোয়ায় সন্যাস নিতে যাওয়ার আগে রামের বিগ্রহে প্রণাম জানিয়েছিলেন।
রাঢ় অঞ্চলে ধর্ম ঠাকুর ও যোগাদ্যার সঙ্গে জড়িয়ে রামচন্দ্রের মিথ। এমন কী রামকৃষ্ণ ও সারদার গৃহদেবতা ছিলেন রামচন্দ্র। রাম পূজিত হতেন শিলারূপে। অনেক প্রাচীন বাঙালি পরিবারের কুলদেবতা রঘুনাথশীলা। রামচন্দ্র বহিরাগত নন। তিনি বাংলার সংস্কৃতিতেই রয়েছেন। নিবিড় ভাবেই রয়েছেন।রামনবমীতে রাজ্য জুড়ে রামভক্তদের উৎসাহের আতিশয্য দেখে অনেকেই শঙ্কিত বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, উত্তরভারতীয় সংস্কৃতিকে বাংলায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গেল গেল রব উঠেছে। তবে রামনবমীকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলি রামকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে সেখানে ধর্ম ও ভক্তির কোনও জায়গা নেই। সত্যি কি রামচন্দ্র বহিরাগত? এক কথায় উত্তর, না। বাংলার সংস্কৃতিতে রামচন্দ্র প্রবলভাবে বিরাজ করছেন প্রাচীনকাল থেকে। কিন্তু সেই রামচন্দ্র উত্তরভারতের মতো বীর রামচন্দ্র নন। বাংলার রাম শান্ত ও সৌম্য। একটা বিষয় মানবেন সবাই, রামায়ণ বাংলায় অসম্ভব জনপ্রিয়। একটা সময় ঘরে ঘরে রামায়ণ পাঠ হতো। গ্রাম বাংলায় এখনও হয়। পঞ্চাশ বছর আগে কলকাতাতেও রামায়ণ পালা হতো। রাম–সীতার গলার মালা নিলাম করা হতো। তবে রামায়ণ যতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল , দেবতা হিসাবে রাম ততটা জনপ্রিয়তা পাননি। তার কারণ হিসাবে পণ্ডিতরা বলেন, শ্রীচৈতন্যের জন্মের পরে বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাবে রামের প্রতিপত্তি কিছুটা কমে। যে কারণে বাংলার অনেক প্রাচীন রামচন্দ্রের বিগ্রহের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষ্ণের নাম। যারা বলছেন রাম বহিরাগত, তাদের জানাই বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে বেশ কিছু প্রাচীন রাম মন্দির রয়েছে। ১৬৭১ সালে বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় বেলুট গোবিন্দপুর গ্রামে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত শ্রী সম্প্রদায়ের রামানন্দের শিষ্যরা রাম মন্দির তৈরি করেন। শোনা যায়, মহাপ্রভু কাটোয়ায় সন্যাস নিতে যাওয়ার আগে রামের বিগ্রহে প্রণাম জানিয়েছিলেন।
রাঢ় অঞ্চলে ধর্ম ঠাকুর ও যোগাদ্যার সঙ্গে জড়িয়ে রামচন্দ্রের মিথ। এমন কী রামকৃষ্ণ ও সারদার গৃহদেবতা ছিলেন রামচন্দ্র। রাম পূজিত হতেন শিলারূপে। অনেক প্রাচীন বাঙালি পরিবারের কুলদেবতা রঘুনাথশীলা। রামচন্দ্র বহিরাগত নন। তিনি বাংলার সংস্কৃতিতেই রয়েছেন। নিবিড় ভাবেই রয়েছেন। বর্ধমানের মঙ্গলকোটে যে সব প্রাচীন মুদ্রা পাওয়া গেছে, তার মধ্যে রাম-সীতার মুদ্রাও রয়েছে। রামচন্দ্র যে বাংলায় প্রাচীন দেবতা এই নিদর্শন তার অন্যতম প্রমান।

বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

https://www.youtube.com/channelhindustan

https://www.facebook.com/channelhindustan

Spread the love

Check Also

চোরেদের মন্ত্রীসভা… কেন বলেছিলেন বাঙালিয়ানার প্রতীক

ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস : আজ বাংলার এবং বাঙালির রাজনীতির এক মহিরুহ চলে গেলেন। শ্রী বুদ্ধদেব …

আদবানি-সখ্যে সংকোচহীন ছিলেন বুদ্ধ

জয়ন্ত ঘোষাল : লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজে আসবেন। বাঙালি অতিথির আপ্যায়নে আদবানি-জায়া …

নির্মলার কোনও অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনা নেই

সুমন ভট্টাচার্য এবারের বাজেটটা না গরিবের না মধ্যবিত্তের না ব্যবসায়ীদের কাউকে খুশি করতে পারলো। দেখে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *