কমলেন্দু সরকার :
হরিদ্বার: গাঢ়োয়ালের গেটওয়ে। গঙ্গার ধারে জমজমাট শহর। বলতে গেলে বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। এখান থেকে ঋষিকেশ ২০ কিমি। দেরাদুন ৪২ কিমি। একবেলা কিংবা একটা দিন কাটিয়ে তারপর চলে যাওয়া ৩৪ কিমি দূরে মুসৌরিতে।
মুসৌরি: পাহাড়ের রানি। বড় মনোরম আবহাওয়া! এখানকার সেরা আকর্ষণ কেম্পটি ফলস।
ধনৌলটি: মুসৌরি থেকে দূরত্ব মাত্র ২৭ কিমি। দেবদারু, পাইন, রডোডেনড্রন আর ওক-এ ঘেরা শান্ত, সুন্দর এক ছুটি কাটানোর জায়গা! চোখজুড়ানো সৌন্দর্য।
উত্তরকাশী: ধনৌলটি থেকে ১১০ কিমি। গঙ্গার ধারে অপূর্ব জায়গা! রাতের বেলা আরও সুন্দর লাগে।
হরশিল: উত্তরকাশী থেকে ৭৫ কিমি। চারিদিকে বরফ-ঢাকা পাহাড়! গাছগাছালি আর পহাড়ের ভিতর দিয়ে বয়ে আসা গঙ্গা দেখতে বেশ লাগে! এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনকাড়া।
গঙ্গোত্রী: হরশিল থেকে হাতের কাছেই। দূরত্ব মাত্র ১৫ কিমি। এখানে প্রকৃতির রূপ মুগ্ধ করে! সারা বছরই এখানে বেশ ভালই ঠান্ডা। এখান থেকেই হাঁটা পথে যেতে হয় গোমুখ। যার টানে মানুষ ছুটে আসছে যুগ যুগ ধরে।
চোপ্তা-তুঙ্গনাথ: ধনৌলটি থেকে ১৭৬ কিমি। একটানা আসতে না পারলে একটা রাত থেকে যেতে পারেন অলকানন্দার ধারে শ্রীনগরে। ভাল লাগবে। ওখান থেকেই ল্যান্সডাউন, খিরসু ঘুরে সোজা চোপ্তা। চমৎকার ভ্যালি। এখান থেকে তিন-চার কিমি হেঁটে পৌঁছনো যায় তুঙ্গনাথ। পঞ্চকেদারের সবচেয়ে উঁচু কেদার। এখানে একটা রাত কাটিয়ে রাত থাকতে উঠে যাওয়া যায় চন্দ্রশিলা। এখান থেকে সূর্যোদয় দেখা সারা জীবনের অভিজ্ঞতা!
দোগলভিটা: চোপ্তার কাছেই। মাত্র আট কিমি। অনেকেই রোমাঞ্চের লোভে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে চার কিমি হেঁটে যান। তবে এখানে ভালুক আর লেপার্ড আছে।
জোশীমঠ: পাহাড়ে ঘেরা সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ। এখানে রয়েছে চার জ্যোতির্মঠের একটি। তৈরি করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য। কাছেই আউলি। এখান বদ্রীনাথ ৪৬ কিমি। সওয়া ঘণ্টা লাগে।
কীভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে হরিদ্বার। দিল্লি হয়েও যাওয়া যায়। হরিদ্বার থেকে গাড়ি নেওয়াই ভাল। গাড়ি নিতে পারেন দেবঋষি ট্র্যাভেল থেকে। চঞ্চল মুখোপাধ্যায়, ফোন: ০৯৮৩৭০ ৮২০১৩।
কোথায় থাকবেন: সরকারি লজে থাকার জন্য— গাঢ়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগম, মার্শাল হাউস, রুম নং- ৩০১-৩০২, তৃতীয় তল, ৩৩/১ এন এস রোড, কলকাতা- ৭০০ ০০১। ফোন- ০৩৩ ২২৩১ ৫৫৫৪