নিজস্ব প্রতিনিধি:
এখনও বহু উত্তম-সুচিত্রা অনুরাগী বা ভক্ত বিশ্বাস করেন ওঁরা দু’জন বিয়ে করেছিলেন গোপনে! কলামন্দিরে এক চ্যারিটি অনুষ্ঠান। সেখানে উত্তম-সুচিত্রা দু’জনেই উপস্থিত। সকলের অনুরোধে দু’জনে গান ধরলেন সেই বিখ্যাত রোম্যান্টিক গান— এই পথ যদি না শেষ হয়।
সুচিত্রা মুখটা উত্তমের কানের কাছে নিয়ে ফিসফিসিয়ে বললেন, ‘না, তুমিই বলো।’ উত্তম এবার সুচিত্রার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললেন, ‘না, তুমিই বলো।’
যেহেতু মাইক্রোফোন ছিল তাই দর্শকেরা সবই শুনতে পাচ্ছিলেন। পিছন বসা কয়েকজন সিটের ওপর উঠে চেঁচিয়ে বলেই ফেললেন, ‘গুরু বলেই ফ্যালো না, আমরা তো শুনব বলে কবে থেকে বসে আছি!’
আসলে উত্তম-সুচিত্রার প্রেম নিয়ে গুঞ্জন সেই প্রথম থেকেই। যেদিন ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ হিট হল। তারপর থেকেই। ওঁদের প্রেম নিয়ে গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢালল ‘অগ্নিপরীক্ষা’র সেই বিজ্ঞাপনের কপিটা। সুচিত্রা সেনের স্বাক্ষরিত সেই বিজ্ঞাপন কপি কেমন ছিল— আমাদের প্রণয়ের সাক্ষী হল অগ্নিপরীক্ষা।
এটি দেখে উত্তমজায়া গৌরী দেবী অঝোরে কেঁদেছিলেন। সুচিত্রার দাম্পত্যজীবনেও নাকি এর প্রভাব পড়েছিল। এ নিয়ে একটা গল্পও চালু ছিল স্টুডিয়োপাড়ায়। একদিন পার্টি ছিল সুচিত্রার বালিগঞ্জের বাড়িতে। মধ্যরাতে সকলের অনুরোধে নাচতে শুরু করলেন উত্তম-সুচিত্রা। নাচ জমে উঠেছে। সুচিত্রার কোমর ধরে ঘনিষ্ঠ হয়ে নাচছেন উত্তম। হঠাৎই সুচিত্রার স্বামী দিবানাথ সেন খাপ্পা হয়ে উত্তমকুমারের দিকে ছুটে গেলেন। তাঁকে থামালেন গৌরী দেবী। আর উত্তম সেই যে ছুট দিলেন একেবারে সোজা বাড়ি।
তবে উত্তম-সুচিত্রা অফ স্ক্রিন প্রেম ছিল না। থাকলে অন স্ক্রিন ওইরকম রোম্যান্টিক দৃশ্য করতে পারতেন না। উত্তমের দিক থেকে প্রেম থাকলেও তা অনুচ্চারিত ছিল। সুচিত্রা ভাল বন্ধু ছিলেন উত্তমের। তবে সুচিত্রা একদম অন্য ধরনের মানুষ ছিলেন। উনি যে-রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন সেদিন তিনি কানন দেবীর বাড়িতেই গেছিলেন, অন্য কোথাও নয়। তবে উত্তম-সুচিত্রার বন্ধুত্বের রসায়ন ছিল খুবই উত্তম। তাহলেও ওঁদের প্রেম নিয়ে রহস্য আজও রয়ে গেছে।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন