নিজস্ব প্রতিনিধি:
উত্তমকুমার গৌরী দেবীকে ভালবেসে ডাকতেন ‘গজু’ বলে। একবার তো ইলাহাবাদ থেকে চিঠি দিলেন ‘হাতি মেরে সাথি’ লিখে। গৌরী দেবী ডাকতেন ‘বণিক’ বলে। তার কারণটা নাকি উত্তমকুমার নানারকম ব্যবসার কথা শোনাতেন গৌরী দেবীকে। এক-একদিন এক-একরকম ব্যবসা। কিন্তু গৌরী দেবী জানতেন উত্তমের যা মানসিকতা তাতে ওর দ্বারা ব্যবসা হবে না। তাই মজা করে ডাকতেন ‘বণিক’ বলে।
উত্তমকুমার যেখানেই থাকতেন-না কেন বিবাহবার্ষিকীর দিন গৌরী দেবীর সঙ্গে রাত কাটাতেনই। আমি শুনেছিলাম এক উত্তমঘনিষ্ঠের কাছে বিবাহবার্ষিকীতে গৌরী দেবীকে প্রচুর পরিমাণে সোনার গয়না আর একটা বেনারসি শাড়ি দিতেন।
আর একটা ঘটনার কথা বললে বুঝতে সুবিধা হবে ওঁদের দু’জনের সম্পর্কে। উত্তমকুমারের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া হবে। বাড়ির ছাদে ঢালাও ব্যবস্থা। উত্তমকুমারের এক প্রিয় গায়ক বন্ধু নাচতে নাচতে গৌরী দেবীর সঙ্গেও নাচার ইচ্ছা প্রকাশ করল। উত্তমকুমার দূর থেকে সেটা অবজার্ভ করছিলেন। যেই-না গায়ক বন্ধু গৌরী দেবীর কাছাকাছি গেছেন উত্তমকুমার দৌড়ে এসে সপাটে এক চড় কষালেন। সেই গায়ক দু’হাত দূরে ছিটকে পড়েছিলেন উত্তমের চড় খেয়ে!
পরে সেই গায়ক বন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন ঠিক কাজ তিনি করেননি। তাই বন্ধুত্ব ছিল অটুট।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন