দেবক বন্দ্যোপাধ্যায়
শোভনের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না দুলাল দাস!
ছেলের চাকরি নেই, মেয়েকে খাওয়াবে কী! বিয়ে দিয়ে দিলেই হল!
দুলাল রাজনীতি করেন, কংগ্রেস। দলে তিনি সোমেন মিত্রর ঘনিষ্ঠ। শোভনও রাজনীতি করেন। ‘সোশ্যাল ওয়ার্ক’ করেন, মানুষের কাজ, দেশের কাজ! কিন্তু এই সব ভারী ভারী শব্দে দুলালের মন গলবে! সে গুড়়ে বালি।
শোভনের চোখে দুলাল তখন টলিউডের উৎপল দত্ত কিংবা বলিউডের অমরীশ পুরী। এই সময় একজন রঞ্জিত মল্লিকের খুব প্রয়োজন হল শোভনের। এমন একজন মানুষ, যিনি ভালবাসার জয়গান গেয়ে এইসব টিপিকাল ভিলেন বাপেদের একদম জব্দ করে দিতে পারবেন!
কে হবেন শোভনের রঞ্জিত মল্লিক! কে হবেন কাননের ত্রাতা?
শোভনের ডাকনাম যে কানণ, মিডিয়ার কল্যাণে এখন তা সবাই জানেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোভনকে ডাকেন কানন বলেই। কানন তাঁর প্রিয় ছোট ভাই।
শোভনও ত্রাতা হিসেবে খুঁজে পেলেন তাঁর দিদি অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। দুপুর বেলা দিদির বাড়ি হাজির কানন। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মমতাকে জানালেন যে তাঁর সঙ্গে রত্নার বিয়ে দিতে চাইছেন না রত্নার বাবা।
ভাইয়ের কষ্টে দিদিরও মন খারাপ হয়ে গেল। তাছাড়া মিঞা বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজী! সুতরাং চল কাজীর বাড়ি থুড়ি দুলালের বাড়ি।
সেই দুপুরে মমতার সঙ্গে ছিলেন এক সাংবাদিকও। তাঁকেও সঙ্গে নেওয়া হল। তিনজনে মিলে শোভনের ‘বিবাহ অভিযান!’
সেদিনের মমতা আজকের মমতা না হলেও, চিরকালই তাঁর ব্যক্তিত্বের সামনে টিঁকে থাকা ভার। দুলাল মমতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ওই পর্যন্তই। প্রজাপতি ঋষির ইচ্ছা আর মমতার ‘সার্জিকাল স্ট্রাইকে’ সেদিন বিয়েতে সম্মতি দিয়েছিলেন দুলাল দাস।
এ হেন বিবাহ এখন বিচ্ছেদের দোরগোড়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, বিচ্ছেদ মামলার সংবাদে আঘাত পেয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan