Breaking News
Home / TRENDING / পঞ্চায়েতে অচেনা খেলা মুকুলের, সংশয়ে সিদ্ধান্তহীনতা মমতার

পঞ্চায়েতে অচেনা খেলা মুকুলের, সংশয়ে সিদ্ধান্তহীনতা মমতার

দেবক বন্দ্যোপাধ্যায়:

কে যে কার? বোঝা ভার! পঞ্চায়েতের আগে এটাই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিকতম সংশয়।
নিচু তলার যে সব নেতা কর্মীরা মুকুলের ডাকে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের ব্যাপারে এক প্রকার স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়েছে ঠিকই, গোল বেঁধেছে যাঁরা এখনও যাননি তাঁদের নিয়ে। তাঁরাই এখন মাথাব্যথার কারণ। এবং এই ‘তাঁরা’ বলতে কে নয়! দলের ওপর থেকে নিচে পর্যন্ত সকলেই এখন সন্দেহের তালিকায়। বলা ভাল সংশয়ের তালিকায়।
এই পরিস্থিতি আগেও দলে তৈরি হয়নি তা নয়। তবে তখন বিক্ষুব্ধদের কাছে বিকল্প হিসেবে ছিল কংগ্রেস। কয়েকজন নেতা কংগ্রেসে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন বলে শোনা যায়। এমন কি কেউ কেউ আবার দল ভাঙিয়ে সনিয়ার হাতে উপহার তুলে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন বলে শোনা যায়! তবে পরে তাঁরা সকলেই উপলব্ধি করেছিলেন যে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসে বা ১০ জনপথে মমতার প্রভাব তাঁদের চেয়ে তো বটেই, কংগ্রেসের অনেক বড় নেতার চেয়েও বেশি! তবে এখন ছবিটা আলাদা। বিজেপি বা বলা ভাল ‘মোদি বলয়’ মমতার কাছে এখনও পর্যন্ত দুর্ভেদ্যই রয়ে গেছে। সেই কারণে মমতার মাথা ব্যাথাটাও বেশি। মুকুলের খেলার বিবিধ ধরণ মমতা চেনেন। মুকুলও জানেন সে কথা। ফলে তিনিও এবার এমন খেলা খেলবেন যেটা মমতার অজানা। সুতরাং, কারা বিজেপিতে গেল আর কারা গেল না, পঞ্চায়েতের আগে তার ওপর কিছুই নির্ভর করছে না। যারা নেত্রীকে খুশি করার জন্যে মুকুলের বিরুদ্ধে শব্দবোমা ফাটাচ্ছেন তারাই আবার তলে তলে মুকুলের সভায় লোক সরবরাহ করছেন কি না কে বলতে পারে! মমতা খুব ভাল করে জানেন যে দলের মধ্যে এমন কোনও নেতা নেই যাঁর দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ নেই। যে ক্ষোভ অভিষেকের উত্থানে আরও বেড়েছে। এমন কোনও নেতা নেই যাঁরা দিনের শেষে নিজেকে অপমানিত, বঞ্চিত মনে করেন না। বিকল্পের অভাবে তারা এখনও তৃণমূলে রয়ে গেলেও একটি যুৎসই বিকল্প পেলে তারা দল ছাড়তে কাল বিলম্ব করবেন না। এসব মমতারও অজানা নয়। এতদিন পর পুরনো কর্মীদের কথা মনে পড়েছে নেতৃত্বের। এক সময়ে যারা তৃণমূলকে নিজ নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই অবহেলায়, অপমানে দল ছেড়ে ঘরে বসে গেছেন। তাদের আবার মনে পড়েছে শুনে তারা হেসে বলছেন ‘মরণ কালে হরি নাম!’
নামী নেতা, বড় নেতা, দুটি জেলায় দারুন প্রতিপত্তি, যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে। এরকম যোগাযোগ রাখার উদাহরণ বহু। মমতার অতি ঘনিষ্ঠ নেতাও মুকুল ঘনিষ্ঠকে ফোন করে বলছেন, মমতার নির্দেশে তাঁকে মুকুলের বিরুদ্ধে বলতে হচ্ছে!
তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই এখন শোনা যাচ্ছে এসব কথা। স্তাবকতা আর দিদি ভোলানো ছড়ার ব্যারিকেড ডিঙিয়ে কিছু কথা মমতার কানেও ঢুকছে। তিনি বিচলিত হচ্ছেন বলেই কী পঞ্চায়েত ভোট একবার বলছেন মে মাসে আর একবার আগস্ট মাসে বলছেন! আগস্টের বর্ষায় ভোট করার ঝামেলা বাড়বে বই কমবে না, তবুও!

 

বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

https://www.youtube.com/channelhindustan

https://www.facebook.com/channelhindustan

Spread the love

Check Also

চোরেদের মন্ত্রীসভা… কেন বলেছিলেন বাঙালিয়ানার প্রতীক

ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস : আজ বাংলার এবং বাঙালির রাজনীতির এক মহিরুহ চলে গেলেন। শ্রী বুদ্ধদেব …

আদবানি-সখ্যে সংকোচহীন ছিলেন বুদ্ধ

জয়ন্ত ঘোষাল : লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজে আসবেন। বাঙালি অতিথির আপ্যায়নে আদবানি-জায়া …

নির্মলার কোনও অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনা নেই

সুমন ভট্টাচার্য এবারের বাজেটটা না গরিবের না মধ্যবিত্তের না ব্যবসায়ীদের কাউকে খুশি করতে পারলো। দেখে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *