চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
আগরতলায় জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে আজ ঘাসফুলে ফিরলেন রাজীব বন্দোপাধ্যায়। রাজীবের দলে ফেরার কিছুক্ষণ পর রাজীবকে নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বর আগের বক্তব্য তুলে ধরলেন। এদিন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘মমতাদি নির্বাচনী প্রচারে ডোমজুড়ে বলেছিলেন যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন চারটে বাড়ি আছে গড়িয়াহাটে, তার টাকার লেনদেন চলছিল দুবাইতে, তা সত্ত্বেও কেন নেওয়া হল সেটা শীর্ষ নেতৃত্বরা বলতে পারবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন দলের কোনও কর্মীর মনে আঘাত দিয়ে বিশ্বাসঘাতককে দলে ফেরত নেওয়া হবে না। আমি একজন দলের কর্মী। তৃণমূলে থাকতে হলে দলের শীর্ষ নেতারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মানতে হবে । তবে আমি জানি না এরকম একটা টপ টু বটম কোরাপটেড লোককে কেন দলে জয়েন করানো হল ।’ রাজীবের দলে ফেরা নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই হৈচৈ পরে গেছে তৃণমূলের অন্দরে।
কল্যাণ বলেছেন, ‘‘দলের শীর্ষ নেতৃত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়েন করিয়েছেন। আমাকে তা মেনে নিতে হবে। কিন্তু মমতাদি নির্বাচনের মিটিংয়ের সময় ডোমজুড়ে বলেছিলেন যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩-৪টে বাড়ি আছে গড়িয়াহাটে। তার টাকার ট্র্যানজাকশন চলছিল দুবাইয়ে। তা সত্ত্বেও কেন তাঁকে নেওয়া হল তা শীর্ষ নেতৃত্ব বলতে পারবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে দলের কোনও কর্মীর মনে আঘাত দিয়ে কোনও বিশ্বাসঘাতককে দলে ফেরত নেওয়া হবে না। আমিও এক জন দলের কর্মী। সাংসদ তো নিশ্চয়ই। তাই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতাটা মনে পড়ছে। ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতাটা মনে পড়ছে। আর তৃণমূলে থাকতে হলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবেন তা তো সবাইকে মেনে চলতে হবে। আমাকেও মেনে চলতে হবে।” এরপরেই কল্যাণ আরও যোগ করে বলেন, “তবে আমি জানি না এরকম একটা টপ টু বটম করাপ্টেড এক জন লোক, সেই লোককে কেন জয়েন করানো হল। আমি জানি না তা।’’ প্রসঙ্গত, রাজীব ১০ বছর তৃণমূলের প্রতীকে ডোমজুড়ের বিধায়ক ছিলেন। আর ডোমজুড় শ্রীরামপুর লোকসভার অধীনে। সেই কারণেই তৃণমূলের অন্দরে প্রায়শই রাজীব-কল্যাণ দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। রাজীব তৃণমূলে ফিরতেই শুরু হল সেই সংঘাত পর্ব, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।