সুমন সেনগুপ্ত
গতকাল, মঙ্গলবার ছিল বিশ্ব নাট্য দিবস। লক্ষণীয় বিষয় হল, দেশ জুড়েই সমস্ত শিল্পকলাই এক ক্রান্তিকালের মুখে। মানুষ কী চায়? রাষ্ট্র কী চায়? নাটকের পৃষ্ঠপোষকরা কী চায়? তা স্পষ্ট ও স্বচ্ছ নয়। থিয়েটারও তার বাইরে নয়। অনেকের অভিমত বাংলার দর্শকরা থিয়েটার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।মুল্যবোধের প্রশ্ন? আর এখানেই বাংলার নাট্য জগত এক বড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। বিশ্ব নাট্য দিবস নিয়ে কী বলছেন নাট্যকার দেবেশ চট্টোপাধ্যায়– ”গোটা পৃথিবী জুড়েই মৌলবাদ মাথা চাড়া দিয়েছে ভয়ংকরভাবে। ভারতবর্ষও তার ব্যতিক্রম নয়। মুক্ত চিন্তা আজ আক্রান্ত। এম এম কালবুর্গি-নরেন্দ্র দাভোলকর-গোবিন্দ পানসায়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ম ও জাতপাতের রাজনীতির উত্থান আরও অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সমাজকে। এই অস্থির সময়ে নাট্য কর্মীদের দায়িত্ব অনেক বেশি। এই প্রাচীন মাধ্যম যে শুধু বিনোদনের জন্য নয়, ইতিহাস সে প্রমান দিয়েছে বারেবারে। তাই নাট্য দিবসে আসুন আমরা সময়ের দিকে চোখ রাখি, তার উর্দ্ধপাতিত নির্যাস থেকে গড়ে উঠুক আমাদের শিল্প।” আজকের সময়ে নিজের মনের কথা জানালেন দেবেশ। নাটককার অরূপশঙ্কর মৈত্র জানালেন, দিবস সেই সব বিষয় নিয়ে উদযাপন করা হয়-যেগুলো মানুষ গুরুত্বহীন করে ফেলেছে। আজ বাংলায় সত্যি সাধারণ মানুষ নাট্য ভুলতে বসেছে। বিশ্ব নাট্য দিবস নিয়ে রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তীর বক্তব্য, এক অজানা আশঙ্কা আঁকড়ে ধরছে ক্রমশ; ইচ্ছা থেকেও অনেকেই থিয়েটারে থাকতে পারছে কই। বিশ্বায়ণের কবলে ভবিষ্যৎ চাহিদার গ্রাফ এমন পর্যায়ে উঠেছে যা থিয়েটার মেটাতে পারছে না। আসলে থিয়েটার করতে দামাল হওয়াটা খুব প্রয়োজন, যারা ভবিষ্যতের চোখে চোখ রেখে থিয়েটার করবে। সরকারের উচিৎ থিয়েটারকে সঠিক গুরুত্ব দেওয়া। বিদ্যালয় স্তরে থিয়েটারকে তুলে আনা। যাতে থিয়েটার মানুষের কাছে আসতে পারে। সবশেষে বলব পরনিন্দা,পরচর্চা ছেড়ে বরং একটু বেশী করে থিয়েটার চর্চায় যেন মন দিই আমরা। নাট্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যেন থিয়েটার করি।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan