জ্যোতিস্মিতা দত্ত
কিছু তারা কখনই মেঘে ঢাকা পড়েনা, রয়ে যায় মনের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে। তেমনভাবেই রয়ে গেলেন বেণুদি। শুক্রবার সকালে বালিগজ্ঞের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। খবর পেয়েই তাঁর বাড়ি যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। “উত্তম অধ্যায়” শেষ হয়ে গেল, জানান শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়ির বাইরে চেনা মুখের ভিড়। কিন্তু অতিথিপরায়ন গৃহকর্তী যে তখন চিরশয্যায়। মুখে-মুখে কত স্মৃতিকথা। কেউ বলেছেন সিনেমা, টেলিভিশন, থিয়েটার, যাত্রায় তাঁর বহুমুখী প্রতিভার কথা। আবার কারও মুখে আফসোস, একসঙ্গে কাজ করা হল না। বাড়ির দেওয়ালে সাজানো দীর্ঘ কর্মজীবনে অর্জিত সম্মান, পুরস্কার। সাত বছর বয়সে প্রথম নাটকের মঞ্চে পদার্পণ। তারপর ৫২ সালে সিনেমায় পা। তখন বাঙালির মননে-চিন্তনে উত্তম-সুচিত্রা জুটি। এরই মধ্যে নিজের অনন্য জায়গা তৈরি করেন তিনি। মেঘে ঢাকা তারায় নীতার চরিত্রে তাঁর অভিনয় আজও সবার মনে দাগ কেটে যায়।
দুপুর ২টো নাগাদ তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় রবীন্দ্র সদনে। সেখানেও তাঁর অনুরাগীদের ভিড়। ছ’ দশক ধরে কখনও রোম্যান্টিক নায়িকা, কখনও ছোট বোন আবার কখনও বা জননী হয়ে ছুঁয়ে গেছেন দুই প্রজন্মের হাজার হাজার দর্শকের মন। শেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে তাই ভিড় ছিল প্রবীণদের পাশাপাশি তরুনদেরও। সন্ধ্যে ৬.৩০ টায় রবীন্দ্র সদন থেকে শুরু হয় শেষ যাত্রা। শীতের সন্ধায় প্রিয় নায়িকার শেষ যাত্রায় হাঁটলেন তাঁর সহকর্মী ও অনুরাগীরা। রাত ৮টা নাগাদ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। ৮৫ বছরের এই কিংবদন্তী নায়িকার প্রয়াণে বাংলা চলচ্চিত্র জগত মণিহারা হল। শেষ হয়ে গেল সিনে-জগতের সোনালি অধ্যায়।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindusta