মধুকল্পিতা চৌধুরী 
দেশ জুড়ে গেরুয়া ঝড়ে কার্যত ধরাশায়ী কংগ্রেস। এমত অবস্থায় কংগ্রেস হাই কম্যান্ড রাহুল গান্ধীকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলার পরিকল্পনা নেয়। কান পাতলে শোনা যায়, এটাই না কি গান্ধী পরিবারের ‘ট্রাডিশন’। বংশ পরম্পরায় কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন গান্ধী পরিবার। কংগ্রেসের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, তবে তাতে খুব একটা সন্তুষ্ট নয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। কারণ রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেসের সাফল্যের চাবি কাঠি নেই বললেই। কখনও একলা চলো নীতি তো কখনও জোট। তবে, আখেড়ে লাভ কিছুই হয়নি। আর তার প্রমাণ ২০১৭ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশে রাহুলের এই ‘ক্যারিশ্মা’ কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় উত্তরপ্রদেশে সরকার গঠন করেন নমোর দল। ফিরে যাওয়া যাক আরও একটু পিছনে। ২০১৬ সালে এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ঘাসফুলকে ব্যাকফুটে ফেলতে চিরশত্রু সিপিএমের হাত ধরে কংগ্রেস। নেতৃত্বে সেই রাহুল গান্ধী। এমনকি এরাজ্যে এসেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে এক মঞ্চে সভা করেন তিনি। তবে, জোটের ভাগ্যে জুটল ‘জিরো’। এরাজ্যেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। আর তার জেরেই ধীরে ধীরে রাহুলের প্রতি আস্থা হারাতে থাকে কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা-নেত্রীরা। আর তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যায় কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের কথায়। সোমবার এক বিবৃতিতে জয়রাম প্রকাশ জানান, কংগ্রেস দল অস্তিতসংকটে ভুগছে। জয়রাম রমেশের এমন মন্তব্যে পর পাল্টা মন্তব্য করেন বিজেপি। তবে, মন্তব্য ঠিক নয় আগুনে ঘি ঢালে বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন বিজেপি নেতা, সুব্রক্ষনম স্বামী বলেন, কংগ্রেসের উচিত নতুন কোনও ‘লিডার’ নিয়ে আসা। এমনকি জয়রাম রমেশকেও তিনি এই পার্টির নেতৃত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন। শুধু তাই নয়, সোনিয়া গান্ধীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুব্রক্ষনম স্বামী। বিদেশী উপাদান দিয়ে পার্টি চালানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা। তবে, এর প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব কি জবাব দেয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
Channel Hindustan Channel Hindustan is Bengal’s popular online news portal which offers the latest news