নীল বণিক :
শুধুমাত্র মুকুল রায় নন, তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও গোয়েন্দাদের কড়া নজরদারিতে রয়েছেন। মুকুল রায় দল ছেড়ে যাওয়ার পর শুভ্রাংশু বলেছেন যে তিনি কোনওদিন তৃণমূল ছাড়বেন না। তিনি শুনিয়েছেন তাঁর দুই স্বত্বার কথা। একটি তাঁর রাজনৈতিক সত্বা আর একটি পারিবারিক সত্বা। শুভ্রাংশুর বক্তব্য, তাঁর রাজনৈতিক সত্বা জুড়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর পারিবারিক সত্বা জুড়ে তাঁর পরিবার এবং অবশ্যই তাঁর পিতা মুকুল রায়। এই দুই সত্বায় কোনও বিরোধ নেই বা ভবিষ্যতেও বিরোধ হবে না বলেই দাবি মুকুলপুত্রের।
এক সময় যাঁরা তাঁর বাবার সামনে চোখ তুলে কথা বলতে পারত না তাঁরাও এখন তাঁর বাবার ‘মুণ্ডপাত’ করছেন! তাঁর বাবার কোনও সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে যেসব নেতারা আড়ালে গজগজ করতেন কিন্তু তাঁর বাবার সামনে মুখ খুলতে পারতেন না, তাঁরা এখন তাঁদের পাড়ায় এসে মুকুল রায়ের ওপর বিষোদগার করছেন। শুভ্রাংশু, মুকুলের প্রিয় হাপুন, এসব দেখছেন এবং হজম করছেন। বলছেন, তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে একমত নন।
এতকিছুর পরেও কী দলনেত্রীর আস্থা অর্জন করতে পারছেন শুভ্রাংশু!
পুলিশ সুত্রে যা খবর তাতে আস্থা তো দুরের কথা বরং তাঁকে কড়া নজরে রাখারই নির্দেশ রয়েছে গোয়েন্দা বিভাগের কাছে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, শুভ্রাংশুর বর্তমান বাবা-বিরোধী ভূমিকায় মুকুলেরই কোনও চাল রয়েছে বলে মনে করছেন। সূত্রের খবর শুভ্রাংশুকে নজরে রাখতে সরাসরি পুলিশকেই কাজে লাগাচ্ছে নবান্ন। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা তাঁকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা জুড়ে নজরে রেখেছেন। জেলার ডিআইবির দুই আধিকারিক তাঁকে সবসময় নজরে রেখে চলেছেন। তারপর তো রাজ্য আইবির গোয়েন্দারা আছেনই। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের গোয়েন্দারাও তাঁকে সবসময় নজরে রাখছেন। কলকাতা পুলিশের দু’জন এসআই মুকুলপুত্রের নজরদারি করছেন বলে সূত্রের খবর। কয়েকদিন আগে স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক বৈঠকে কলকাতা পুলিশের এক আইপিএস জানিয়েছেন ‘শুভ্রাংশুর কোনও খবর মিস করা যাবে না। খবর পাওয়া মাত্রই সাহেবদের জানাতে হবে।’
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan