দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় :
নেতাজির মূর্তিতে আলকাতরা মাখানোর খবরের পাশাপাশি নেতাজি সংক্রান্ত আর একটি খবরে স্তম্ভিত নেতাজি পরিবারের সদস্য ও নেতাজির গুণগ্রাহীরা। এই খবরটি নেতাজি-মূর্তিতে আলকাতরা লাগানোর চেয়েও দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন নেতাজি-ভক্তরা। কি সেই খবর? সেটি হল, প্রচলিত খবরের থেকে নেতাজির চিরকালের জন্য বাইরে চলে যাওয়ার দিনটিতে তাঁর স্মরণে একটি পদযাত্রা আয়োজিত হয়েছে। এবার তাতেও আপত্তি মমতার প্রশাসনের! নেতাজি ওপেন ফোরাম নামক একটি সংস্থা এই পদযাত্রার আয়োজন করেছে। এই ওপেন ফোরামের আহ্বায়ক নেতাজির ভ্রাতুষ্পুত্র চন্দ্র বসু। চন্দ্র বসু এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সহঃসভাপতি। তাঁর এই পরিচয় কী প্রশাসনের অনুমতি পাওয়ার পথে বাধা হচ্ছে? চন্দ্রর উত্তর, “মনে হয় না, হওয়ার কথা নয়। ১৫ আগস্ট, রাজভবনে আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে তিনি মানেন না বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল।” ওই দিন চন্দ্র বসু মুখ্যমন্ত্রীকে পদযাত্রায় আসতেও অনুরোধ করেন। চন্দ্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন যে তিনি আসার চেষ্টা করবেন। এত কিছুর পরে কেন পুলিশ- অনুমতি পাওয়া গেল না, তা বুঝে উঠতে পারছেন না পদযাত্রার উদ্যোক্তারা। শুধু অনুমতি না দেওয়াই নয়, অনুমতি চাইতে গিয়ে লালবাজারে অসম্মানিত হতে হয়েছে বসু বাড়ির প্রতিনিধিদের, অভিযোগ চন্দ্র বসুর। অনুমতির জন্য আবেদনপত্র গ্রহন করে তার প্রাপ্তি স্বীকার পর্যন্ত লালবাজার করেনি বলে জানিয়েছেন চন্দ্র। শেষে নিরুপায় হয়ে তারা মেইল করেন। সেই মেইলের উত্তর শরৎ বসুর পৌত্রী জয়ন্তী রক্ষিতেকে হোয়াটসআ্যাপ করে জানানো হয়েছে বলে দাবি চন্দ্র বসুর। বলা হয়েছে, অনুমতি মিলবে না।নেতাজিকে নিয়ে একটি বিশেষ দিনে কলকাতার বুকে পদযাত্রা করায় যে প্রশাসনের বাধা আসতে পারে তা ভেবে উঠতে পারেনি সুভাষ বসুর পরিবার।
নেতাজীর মূর্তিকে কলুষিত করা হল, একটি নিন্দাবাক্য শোনা গেল না মুখ্যমন্ত্রীর মুখে!মমতার বাংলায় আর কত অপমানিত হবেন নেতাজি! আক্ষেপ চন্দ্র বসুদের।