ওয়েব ডেস্ক
লক্ষ্মণরাও ইনামদার, এই নামের সঙ্গে খুব বেশি মানুষ পরিচিত নয়। আর এই মানুষটিই হল আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘গুরু’। লক্ষ্মণরাও ইনামদার ভাকিল সাহেব নামেও পরিচিত। নমোর রজনীতির জীবন শুরু এই ভাকিল সাহেবের হাত ধরেই। সেই কারণেই তিনি নবরাত্রির প্রথমদিনেই দিল্লিতে লক্ষ্মণরাও ইনামদারের শতবার্ষিকি উদযাপন অনুষ্ঠানে হাজির হন। এর মাধ্যমেই নমো তাঁর ‘গুরু’-কে শ্রদ্ধা জানান।
নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর বাবার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল না। নমোর জীবনে সেই ‘শূণ্যস্থান’ পূরণ করেছিলেন ভাকিল সাহেব। তাঁর হাত ধরেই মোদি রাজনীতিতে পা রেখেছেন ঠিকই, কিন্তু জীবনের প্রত্যেকটা পদেই তিনি ভাকিল সাহেবকে পাশে পেয়েছেন। রাজনীতি ছাড়াও মোদির ব্যক্তিগত জীবনেও ভাকিল সাহেবের অবদান অবিস্মরণীয়।
( ছবি-সৌজন্যে- দ্য ইকনোমিক টাইমস)
মাহেসনা জেলার ভাদনগরে মোদির সঙ্গে প্রথম ভাকিল সাহেবের দেখা হয়। সেই সময় তিনি আরএসএস-কে পুনুরুজ্জীবিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে মোদি জানান, ‘‘ভাকিল সাহেবের কথা আমার হৃদয়ে স্পর্শ করে যায়।’’ সেই সময় নমোর সঙ্গে কথাও হয় ভাকিল সাহেবের। কোন খেলার প্রতি নমোর বেশি আগ্রহ তা জানতে চান ভাকিল সাহেব। এরপর থেকেই স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ ঘন ঘন মোদির সঙ্গে দেখা করতে থাকেন। পাশাপাশি তাঁরা জানান, ভাকিল সাহেব নমোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
১৯৭১ সালে ভাকিল সাহেবের কথা মতোই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন মোদি। তিহার জেলে রাতও কাটান তিনি। এর মাধ্যমেই রাজনীতির জীবনে পথ চলা শুরু করেন নমো। দেশে যখন ‘জরুরি অবস্থা’ জারি করা হয়, তখন ভাকিল সাহেবের বিশ্বস্ত অনুচর ছিলেন নমো।
ধীরে ধীরে রাজনীতির সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে পড়েন নমো। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বেশ পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু এত কিছুর পরও তিনি ভাকিল সাহেবের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য মুখিয়ে থাকতেন। ১৯৮৭ সালে আরএসএস থেকে বিজেপিতে আসেন মোদি। কিন্তু সেই সময় মৃত্যু হয় ভাকিল সাহেবের।
ভাকিল সাহেব না থাকলেও আজও তাঁকে ভোলেননি নমো। জীবনের প্রতিটা পদেই তিনি স্মরণ করেন ভাকিল সাহেবকে।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan