দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় :
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে প্রদীপ ভট্টাচার্যের রাজ্যাসভা যাত্রা মেনে নিতে পারছে না রাজ্য কংগ্রেসের একটা বড় অংশ। মূলত দলের কট্টর মমতা বিরোধী অংশ প্রদীপের মমতাকে ফোন করার ঘটনাকে ভাল চোখে দেখছে না। প্রকাশ্যে দলের এই অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের আইনজীবী নেতা অরুণাভ ঘোষ। শুক্রবার সন্ধেবেলা চ্যানেল হিন্দুস্তানকে অরুণাভ বলেন, রাজ্যসভায় যাওয়ার জন্যে মমতাকে প্রদীপদার ফোন করার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।
বুথ স্তরের বহু কংগ্রেস কর্মী তাঁকে ফোন করে নিজেদের হতাশার কথা জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন অরুণাভ। তাঁর কথায়, ‘রাজ্যসভায় একজন প্রতিনিধি থাকার চেয়েও জরুরি রাজ্যে দলটাকে সংঘবদ্ধ করা।’ তাঁর মতে, মমতার যে কোনও প্রকারে কংগ্রেসকে ভাঙার নীতির ফলেই আজ একার যোগ্যতায় রাজ্যসভায় যাওয়ার অবস্থায় নেই কংগ্রেস। আর সেই মমতার সাহায্য নিয়েই কিনা দলের একজন বর্ষীয়ান নেতা রাজ্যসভায় যাবেন, এটা লজ্জার! অরুণাভর মত আইনজীবী ও সুবক্তা নেতা যখন এই ভাবে প্রদীপের সমালোচনা করছেন তখন কলকাতারই এক ডাকাবুকো নেতা ভাবছেন বিধানভবনের সামনে প্রদীপের কুশ পুত্তলিকা পোড়াবেন কিনা! দলের রাজ্য সভাপতিরও বিষয়টি পছন্দ হয়নি বলে খবর। দলের প্রবীন অনেক নেতাই প্রদীপের এমন আচরন মেনে নিতে পারেননি। তবে প্রত্যাশিত ভাবেই তাঁরা চুপ করে রয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতার রাকেশ সিং, যিনি বিবিধ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কংগ্রেস রাজনীতিতে পরিচিত মুখ, তিনি বলেন,’ নেতারা এই কাজ করলে কর্মীদের কোন মুখে বলব কংগ্রেস করতে! তারা তৃণমূলে গেলে আটকাব কী বলে!’
প্রদীপ ঘনিষ্ঠরা অবশ্য এইসব সমালোচনায় পাত্তা দিচ্ছেন না। তাঁদের বক্তব্য বিজেপিকে রুখতে হাই কম্যান্ড এখন জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে একটা সমন্বয় প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধিতায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন। এই অবস্থায় অন্ধ মমতা বিরোধিতার কোনও মানে হয় না।
প্রদীপপন্থীরা যাই বলুন, দলে আওয়াজ উঠেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রাজ্যসভায় প্রদীপ!
খবরের ভেতরেও থাকে খবর। সেই খবর সহজে পেতে ডাউনলোড করুন channelhindustan – এর ফ্রি অ্যাপ google playstore’এ
আরও পড়ুন :-
জল ছাড়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে শ্বেতপত্রের দাবি দিলীপের