দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীল বণিক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে পাহাড় নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করুন, তারপর পাঠাবেন মুকুল রায়কে।
পাহাড়ে মমতার মুকুল-দৌত্যের কথা জানতে পেরে এভাবেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে মোর্চা নেতৃত্ব।
বিধায়ক তথা মোর্চার মুখপাত্র রহিত শর্মা বলেন, ” আমরা আগেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চেয়েছি। রাজ্য সরকার আগে জানাক আলোচনার বিষয়বস্তু কী! তারপর তো আলোচনা হবে।”
গুরুঙ্গের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। গৌতম দেব যতদিন পাহাড়ে রাজনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার দায়িত্ব সামলেছেন ততদিন এক প্রকার স্থিতাবস্থা ছিল, অরূপ বিশ্বাসের হাতে পাহাড়ের ভার পড়ার পর পরিস্থিতির অবনতি হয়। এরপর মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের ‘অপমানজনক’ মন্তব্য এবং বাংলা ভাষা শেখার ইস্যু গুরুঙ্গের হাতে চাঁদ এনে দেয়। পাহাড়ের পরিস্থিতি এখন কার্যত হাতের বাইরে। এই অবস্থায় আবার মুকুলকে পাহাড়ে পাঠিয়ে কতটা কার্যসিদ্ধি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সব মহলেই। রহিত শর্মা যেমন বলেই দিচ্ছেন, তাঁদের কাছে কোনও নাম নয় আলোচনার অ্যাজেন্ডাই বড় কথা। আর অ্যাজেন্ডা ঠিক করার ভার মুখ্যমন্ত্রীর, মুকুল রায়ের নয়।
মোর্চার আর এক বিধায়ক অমর রাই আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “আমরা গোর্খাল্যান্ড চাই। একমাত্র গোর্খাল্যান্ড নিয়েই আলোচনা করব। আমরা রাজ্যের কোনও প্রতিনিধিকেই বিশ্বাস করি না।”
দলে মুকুল শিবিরও ঘনিষ্ঠ মহলে বলাবলি করছেন যে, পাহাড় পরিস্থিতির বারোটা বাজার পর এখন মুকুল রায়কে পাঠিয়ে কী আশা করছেন মুখ্যমন্ত্রী! মুকুল শিবিরের এক নেতার বক্তব্য, দাদাকে মরা মানুষ বাঁচাবার কাজ দিয়েছেন নেত্রী। আর যাঁরা মারল (পাহাড় পরিস্থিতি খারাপ করল) তাঁরা দলের মধ্যে কলার তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর একুশের মঞ্চে দিদির পাশে দাঁড়িয়ে গান গাইছেন।” তাঁর প্রশ্ন “এবার কী মরা মানুষ বাঁচাতে না পারলে দাদাকে ব্যর্থ বলা হবে?” তাহলে অবশ্য তাঁরাও চুপ করে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন