মধুকল্পিতা চৌধুরী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন খোদ বিহারে বন্যা পরিস্থিতি দেখছেন, ঠিক তখনই উল্টোদিকে ‘‘বিজেপি ভাগাও, দেশ বাঁচাও’’ জনসভার ডাক দিলেন লালু প্রসাদ যাদব। আর সেই সভাতে যোগ দিতে পাটনায় উড়ে গেলেন আরও এক বন্যা কবলিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর এইখানেই উঠে গেল প্রশ্ন। বিহার যখন বন্যায় ভাসছে তখন লালুপ্রসাদের এই রাজনৈতিক তোড়জোড় কতটা সমীচীন! এই বন্যা পরিস্থিতিতে এভাবে জনসভা করা কী উচিত! শণিবার এই প্রশ্ন তুললেন প্রবীন জেডিইউ নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী দুলাল চন্দ্র গোষ্বামী। তাঁর কথায়, শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্কে ভোট বাড়ানোর জন্যই লালুর এই পদক্ষেপ। যদি সত্যিই মানুষের পাশে থাকতে চান লালু ও বিরোধী দলগুলি তাহলে এই অবস্থায় জনসভা কেন?” নীতিশকুমারের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ, বিহারের এই প্রবীণ নেতা লালুর উদ্যোগে জল ঢালতে, শণিবার চ্যানেল হিন্দুস্তানের সামনে বিহারের বন্যা পরিস্থিতিকেই সামনে আনলেন। তাঁর মতে, “মোদি যখন বিহারের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন তখন বিরোধীরা কেন জনসভার পথে এগোলেন? বিরোধী দলগুলি একত্রিত হয়ে ত্রাণের কাজে হাত লাগালে কি বিজেপিকে একহাত নেওয়া যেত না? যদি সত্যিই মানুষের পাশে থাকার জন্য এই জনসভা হয়ে থাকে তাহলে কেন ত্রাণের কাজে হাত লাগালেন না তাঁরা? তাহলে মানুষ বুঝতে পারত লালু তাঁদের পাশে আছেন।”
রবিবার হয়তো বিরোধী দলগুলি মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেবেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে জনসভায় দাঁড়িয়ে পাশে থাকার বার্তা বন্যার জলের মত নেহাৎ জোলো হয়ে যাবে নাতো! প্রশ্ন উঠছে।
এমনিতে সভার সব ব্যবস্থাই নিখুঁত। মমতা তো আছেনই। তাছাড়া সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, সিপি যোশীদের নিয়ে একেবারে রাজনৈতিক চাঁদের হাট।
সবই ঠিকাছে, শুধু টাইমিং-এ কী একটু ভুল করে ফেললেন লালুপ্রসাদ! প্রশ্ন শুনে মুখ টিপে হাসলেন বিহারের এই প্রবীণ নেতা।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan