নিজস্ব প্রতিনিধি
দু’হাজার ষোলোর কংগ্রেস – সিপিএম জোট এই রাজ্যে কংগ্রেসের ওপর মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল। দলের একাংশ উজ্জীবিত হয়েছিল এই ভেবে যে তারা এবার তৃণমূলকে একটা মুখের মত জবাব দিতে পারবে। তখন এই অংশের বক্তব্য ছিল, সিপিএম ‘জাতশত্রু’ ঠিকই কিন্তু ‘ঘরের শত্রু’ তৃণমূলের সঙ্গে বৈরিতার জ্বালা আরও অনেক। তীব্র। আর একটি অংশও ছিল। যে অংশটি সিপিএমের সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার কংগ্রেস ও তৃণমূল কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহল বলছে দুই দলের জোটের দামামা বাজল বলে।
এক বছরের মধ্যে একশ আশি ডিগ্রি অবস্থান বদল করতে সময় সময় নেয়নি কংগ্রেস। কেন্দ্রে ও রাজ্যে বিজেপিকে রুখতে তাদের কাছাকাছি আসা রাজনীতির দস্তুর। তবে যাঁরা সেদিন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে চলে এসেছিলেন তাঁদের এখন কেমন লাগছে?
উত্তর চব্বিশ পরগণার সম্রাট তপাদার। কংগ্রেসের নতুন প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম পরিচিত মুখ। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পছন্দের তালিকায় ছিলেন। দু’হাজার ষোলোতে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর পুরোন দলের আবার তৃণমূলের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়া কেমন লাগছে সম্রাটের? সম্রাট বলছেন, “কংগ্রেস কোন আশায় সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল তাই তো জানি না! তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে লড়াই করার হিম্মত রাখেন। কংগ্রেস তাঁর দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াবে এটাই তো স্বাভাবিক।” তাঁর কথায়, “মজার বিষয় হচ্ছে এই রাজ্যে কংগ্রেসকে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে হয় দিদির বিরোধিতা করতে হচ্ছে নয়তো সমর্থন, দিদি কিন্তু দিদির মতই আছেন। ”
কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা অরুণাভ ঘোষ রাহুল গান্ধিকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছেন তৃণমূলের সঙ্গে দুরত্ব বজায় রাখতে। তাঁর আশঙ্কা সেবার সম্রাটের মত যুবা মুখ হারিয়েছিল দল এবার হারাবে তাঁদের যাঁরা ‘জাত খুইয়ে ‘ সিপিএমের সঙ্গে মিলে তৃণমূলকে ‘সবক’ শেখাতে চেয়েছিল!
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন