দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় :
সোমেন মিত্রকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আবার জল্পনার পারদ চড়ছে।সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে কিছু প্রশ্ন। রাজ্য রাজনীতিতে মমতা ও সনিয়া আবার কাছাকাছি চলে আসার পর দলের মধ্যে সোমেনের ভূমিকা ও অবস্থান কী হবে! সোমেনের তৃণমূলে যোগ দেওয়াকে রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা তাঁর জীবনের ঐতিহাসিক ভুল বলেই মনে করেন। সারদা সহ বিভিন্ন অর্থলগ্নী সংস্থার বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম সরব হন। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও তাঁর দুরত্ব বাড়ে। শেষ পর্যন্ত তিনি আবার কংগ্রেসে ফিরে আসেন। কংগ্রেসের দিল্লি-হাওয়ার অভিমুখ এখন কালীঘাটের দিকে। দশ জনপথের মতিগতি বুঝে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানও বিধানসভায় খোশগল্প জুড়ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়য়ের সঙ্গে। বিরোধীনেতার ঘরে মুখ্যমন্ত্রী চলে এলে তো আর কথাই নেই!
রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক চিত্রটি এখন এইরকম। এ হেন গ্রুপ ফটোতে সোমেন মিত্র মাথা গলাতে পারবেন? যদি না পারেন তাহলে দলে রয়েছেন কেন? তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলেই উঠছে এমন প্রশ্ন।
কংগ্রেস রাজনীতিতে সোমেন -মমতা দ্বৈরথ বিখ্যাত চর্চার বিষয়। মূলতঃ তাঁর সঙ্গে বিবাদের পরিণতিই হল দল ছেড়ে মমতার নতুন দল। সিপিএম বিরোধিতাকে পাখির চোখ করে সেই সময় মমতা বিজেপির হাত ধরতে দ্বিধা করেননি। তাহলে তৃণমূল বিরোধিতার পরিসর যদি কংগ্রেসে আপাতত শেষ হয়ে যায় তাহলে অন্য ভাবনা ভাবতে আপত্তি কোথায় এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির গুটিকয় অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিকদের মধ্যে অন্যতম সোমেন মিত্রর? বিজেপি এবং কংগ্রেসের একাংশে এই প্রশ্ন রয়েছে। বিজেপি সুত্রের খবর, সোমেন মিত্রকে নিয়ে আগ্রহ রয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। তাঁর রাজ্য ব্যাপি পরিচিতি, সাংগঠনিক মস্তিষ্ক ও অভিজ্ঞতার ওপর ভরসা ও সম্মান রয়েছে অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীদের। বিজেপি সুত্রে এমনটাই খবর। তাঁদের আগ্রহের কথা দুত মারফত সোমেনের কাছে পৌঁছেছে বলেও খবর। সোমেনের থেকে এখনও সাড়া মেলেনি বলে দাবি বিজেপি সুত্রের।
কিছুদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বলতে গিয়ে সোমেন মিত্র বলেছেন, রাজ্যে সংখ্যালঘু সাম্প্রদায়িকতা চলছে। এই প্রকার সাম্প্রদায়িকতাও কম বিপজ্জনক নয় আর এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতার নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
সোমেন ঘনিষ্ঠরা বলছেন, কংগ্রেসে থেকে এই ধরনের স্পষ্ট কথা আর বলতে পারবেন ছোড়দা!
