নীল বণিক :
বিদ্যুৎ মাসুলে কি এবার স্বস্তি পেতে চলেছে রাজ্যবাসী? দুর্গা পুজোর আগেই কি কমতে চলেছে বিদ্যুতের দাম? জিএসটি নিয়ে যখন গোটা দেশ তোলপাড় ঠিক সেই সময় দাম বাড়ার জায়গায় দাম কমার ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জিএসটি চালু হবার পর থেকে অনেকটাই দাম কমেছে কয়লার। বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে কয়লা ব্যবহার করা হয় তার দাম কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে আগে যে দামে কয়লা কিনতে হ’ত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে, তার থেকে অনেকটাই কম দামে তারা কিনতে পারছেন কয়লা বলে দাবি মন্ত্রীর। ফলে উৎপাদনের ক্ষেত্রে ‘কস্ট অফ প্রোডাকশন’ অনেকটাই কমেছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের অধীনস্থ সংস্থা ডবলিউ বিএসইডিসিএল। এর ফলে ক্রেতাদের ওপর থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ-এর দাম কমানো উচিৎ বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। সার্বিক ভাবে দাম কমলে প্রতি ইউনিটের দামও কমবে। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন ক্রেতারা। তাই বিদ্যুতের দাম কমানো যায় কি না তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে। তবে কয়লার দাম কমার কারনে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের কত টাকা বাঁচবে তা আগে জানতে হবে। তার পর অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে কথা বলে দাম নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান শোভনদেব। সর্বভারতীয় বণিক সভার এক অনুষ্ঠানে যোগদান করে বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শুধু মাত্র গৃহস্থদের জন্য নয়। দাম কমানোর চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে বানিজ্যিক খেত্রেও।” স্বভাবতই শোভনদেব চট্টোপাধ্যাযের মুখে এই খবর শুনে উচ্ছাস প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিল্পপতিরা।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন