ওয়েব ডেস্ক:
জাতিসঙ্ঘের মতে রোহিঙ্গারা এ মুহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত ও রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের ভারতে রাখা নিয়ে চাপান উতোর লেগেই রয়েছে। তবে, খবরের শিরোনামের কারণে রোহিঙ্গা নামের সঙ্গে আমরা পরিচিত হলেও এই রোহিঙ্গা গোষ্ঠী আসলে কি? কোথা থেকে এসেছে? এবিষয় কিন্তু অনেকেরই অজানা।
মায়নমারে বসাবাস করলেও রোহিঙ্গারা বার্মিস নয়। এই গোষ্ঠীর লোকেরা নিজেদের রোহিঙ্গা হিসেবেই পরিচিতি দিয়ে থাকেন। ইতিহাস ও আদমসুমারিতে এমন অনেক মানুষ রয়েছে বার্মিসে।
রোহিঙ্গারা মূলত বাঙালি। তাঁরা বাঙলা ভাষায় কথা বলতে পারে। পোশাকও তাদের বাঙালিদের মতোই। এমনকি তাঁরা বাঙালিদের মতো খাওয়া দাওয়াও করে।
রোহিঙ্গারা অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে পড়ে। কারণ তাঁরা অবৈধ ভাবে বাংলাদেশ থেকে মায়ানমারে প্রবেশ করে।
বাংলাদেশ থেকে আগত এমন অনেক রোহিঙ্গাদের মায়নমারের নাগরিকত্ব দিয়েছেন সে দেশের সরকার। কিন্তু এরপরেও বহু রোহিঙ্গারা প্রতি বছরই অবৈধ ভাবে সে দেশে প্রবেশ করতে থাকে।
আর যখনই সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যান ঠিক তখনই আইনের আওতায় চলে আসে রোহিঙ্গারা। এর ফলে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গের ভিত্তিতে তাদের কেউ আলাদা করতে পারে না।
রোহিঙ্গার ১৩ বছরের কম বয়সী মেয়েদের ধর্ষণ করে নির্যাতন করে। এমনকি সেই ছোট্ট শিশুদের হত্যাও করে।
রোহিঙ্গারা নির্মভাবে রাখাইন মানুষদের হত্যা করেছে অগ্নি সংযোগ করে। কমপক্ষে ১০০ জন রাখাইনদের হত্যা করার পাশাপাশি এক হাজারেরও বেশি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গারা তালিবান ও আল কায়দাদের দ্বারা প্রশিক্ষিত।
রাখাইনের মানুষদের হত্যার জন্য তাদের কাছে হাজারের বেশি বন্দুক রয়েছে। ( এই ঘটনার প্রমাণের জন্য রাখাইন রাজ্যে যাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন এবং সেখানকার মানুষদের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখা উচিত। বহু রাখাইন মানুষের হত্যা করেছে রোহিঙ্গারা।)