নীল বণিক :
ডাক্তারবাবু রোগীর নাড়ি টিপে বুঝলেন যে এবার আর তেতো ওষুধ ছাড়া গতি নেই।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্রকাশ কারাতের প্রিয়পাত্র, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ঋতব্রতকে শেষপর্যন্ত এইভাবে শাস্তির মুখে পড়তে হবে তা ভাবনার অতীত ছিল দলের অনেকের। দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি আনেন রাজ্য সম্পাদক মিশ্র স্বয়ং। প্রস্তাবের দু’টি বিরোধিতা আসে। তবে প্রস্তাবের সমর্থনে ছিলেন অধিকাংশ সদস্য। ঋতব্রতকে সাসপেন্ড করলে দলের নতুন প্রজন্মের কাছে বিরূপ বার্তা যাবে। তাঁকে বরং সতর্ক করা হোক। এই যুক্তি ধোপে টেকেনি। সাংসদকে এর আগেও সতর্ক করা হয়েছে, কিন্তু লাভ হয়নি। বেশিরভাগ সদস্যের ছিল এই মত।
ঋতব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগটা কি? দীর্ঘদিন ধরেই নাকি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনযাপনের ধরন দলের না- পসন্দ! দামি মোবাইল ফোন, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়ি, নিতান্ত ব্যক্তিগত স্তরে কারওর সঙ্গে বন্ধুত্ব সবই নাকি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকায় আছে! গোদের ওপর বিষফোঁড়া নবান্ন অভিযানের দিনে ঋতব্রতর ‘খারাপ পারফরমেন্স ‘। সেদিন তিনি শেষপর্যন্ত মিছিলে ছিলেন না। নেতা-কর্মীরা যখন মার খাচ্ছেন তখন তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি ইত্যাদি। ভেতরে ভেতরে একটা মঞ্চ প্রস্তুত ছিলই, নবান্ন অভিযান শাস্তি ঘোষণা করার সুযোগ এনে দিল বলেই আলিমুদ্দিনের খবর। তিন সদস্যের কমিটি ঋতব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করবে। ২ অগস্ট রিপোর্ট দেবেন তাঁরা।
আপাতত সুবক্তা ঋতব্রতর ভাগ্য ওই কমিটির হাতে।