ভজন গঙ্গোপাধ্যায় :
রাজ্যপালকে অপমান করার জন্য তাঁর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা।
তাঁর আরও দাবি মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন তা সংবিধানকে অবমাননা করার সমান। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কথা বলার জায়গা আলাদা তাই সেখানেই তিনি এসব কথা বলতে পারতেন।
‘নবান্ন তৃণমূল পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে তাই সব জায়গাটা তারা একই মনে করে।পাহাড়ে সেনা ডাকা হল কিন্তু এখানে তা করা হল না।সেখানে নিজে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে?’ অন্যদিকে বসিরহাট থেকে রাজ্য সরকারের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ ছিল বলে দাবি করছে বিজেপি।তবে ভবিষ্যতে যদি এরকম পরিস্থিত হয় তাহলে সামাল দেওয়া মুশকিল হবে বলে দাবি করছে রাজনৈতিক মহল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজ্যপাল কোশরীনাথ ত্রিপাঠী। মঙ্গলবার কেশরীনাথ ত্রিপাঠী মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, রাজ্যে যখন আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে তখন কী ভাবে মুখ বন্ধ করে আছেন মুখ্যমন্ত্রী? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব কি শুধু চুপ করে বসে থাকা?
রাজ্যপালের এই কথাতেই আগুনে ঘি পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেন যে তিনি রাজ্যপালের মত নয় বরং বিজেপির ব্লক সভাপতির মত কথা বলছেন। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের কথায় অপমানিত হয়ে ইস্তফা দেওয়ার কথাও বলেন।
ফেসবুকের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে রাজ্যপাল বাদুড়িয়ার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির খোঁজ-খবর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে দেখে ৪০০জন আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর কথাও বলেন তিনি। কিন্তু তাতে আমল দেয়নি প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলার ভাষাকে তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যপাল।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন