ভজন গঙ্গোপাধ্যায় :
বাদুড়িয়ার ঘটনায় ইন্টারনেট পরিষেবার ওপর হাত পড়ল প্রশাসনের। বন্ধ করে দেওয়া হল বিভিন্ন মোবাইল ফোন সংস্থার ইন্টারনেট পরিষেবা। ১০ জুলাই পর্যন্ত এই ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
তটস্থ প্রশাসনের দাবি বাদুড়িয়ার আঁচ যাতে এলাকার বাইরে না আসে সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাঁদের। বিশেষ করে বনগাঁ এবং বসিরহাট সাবডিভিশনে এই ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগণার আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ সাবডিভিশন বিধাননগর এবং ব্যারাকপুরকেও সাবধান করা হয়েছে। সাবধান করা হয়েছে কলকাতা পুলিশকেও।
পুলিশের দাবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ছবি বাইরে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে বহিরাগতদের আনা হচ্ছে বেশ কিছু এলাকায়। তাই যাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাইরে এলাকার থমথমে পরিবেশের ছবি পাঠানো না যায় তারই চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে ই-মেল, হোয়াটস্-অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না তাই ছবি বা মেসেজ পাঠানোরও প্রশ্ন উঠছে না।
মঙ্গলবার রাতেই বাদুড়িয়ার আঁচ বারাসত পর্যন্ত ছড়িয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের তৎপরতায় পরিস্থিতি বেসামাল হয়নি।
নবান্নের সতর্ক বার্তা পাওয়ার পরই কলকাতার বেশ কিছু উত্তেজনা প্রবণ এলাকায় একই মাধ্যমে জ্যামার লাগিয়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মানিকতলা, উল্টোডাঙা, চিৎপুর, কাশীপুর, বড়বাজার, পার্কসার্কাস সহ আরও একাধিক অঞ্চল। বাদুড়িয়ার উত্তেজনা কমলেই এই পরিষেবা ফের আগের মতই চালু করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে বাদুড়িয়ার ঘটনায় রেল পরিষেবাও ব্যহত হয়েছে। রেল সূত্রের খবর বারাসত-হাসনাবাদ এবং বারাসত-বনগাঁ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে এদিন সকাল থেকেই রেল অবরোধ হয়েছে। চম্পাপুকুর-বসিরহাট শাখাতেও রেল অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। অশোকনগর, গুমা এবং দত্তপুকুর স্টেশনেও একই অবস্থা চলেছে এদিন সকাল থেকে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিয়ালদহ এবং বারাসত শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। রেল অবরোধের ফলে পাঁচটি ইএমইউ ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকে।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন