কমলেন্দু সরকার :
পুজো মানেই বাঙালি বারমুখো। তাই আমরাও শামিল হলাম। তবে ভ্রমণবিলাসীদের খোঁজখবর দেওয়ায়। প্রথমেই চলুন রাজস্থান।
জয়সলমীর: রাজস্থান মানেই জয়সলমীর। সেটা আবার এই শহরেই। সোনারকেল্লার আশপাশেই পাটোয়া কি হাভেলি, নাথমলজি কি হাভেলি আর সেলিম সিং কি হাভেলি। সব ক’টিই মনকাড়া সুন্দর! জয়সলমীর থেকে ৬ কিমি দূরে পুরনো রাজধানী লোধুর্বা। ৫ কিমি দূরে অমর সাগর। ১৭ কিমি দূরে উড ফসিল পার্ক। সাম স্যান্ডডিউনস ৪২ কিমি দূর। ডেজার্ট ন্যাশনাল পার্ক ৪৫ কিমি দূরে। জয়সলমীর বাজার ঘুরলেই সময় কেটে যায়। অপূর্ব সব হ্যান্ডক্রাফট পাওয়া যায়।
যোধপুর: মূল মেহরানগড় দুর্গ। চমৎকার এই দুর্গ। দুর্গের অন্দরে মোতিমহল, ফুলমহল দৌলতকখানা অসাধারণ! কিছুটা দূরে উমেদভবন। ১১ কিমি গেলেই কয়লানা লেক। একান্তে সময় কাটানোর চমৎকার জায়গা। ৫৮ কিমি দূরে ওশিয়াঁ। পুরনো মরূদ্যান শহর।
জয়পুর: গোলাপি শহর। শহরের কেন্দ্রস্থলে মহারাজার বাসস্থান সিটি প্যালেস। তবে প্রধান আকর্ষণ হাওয়ামহল। এছাড়াও যন্তরমন্তর, রামনিবাস বাগ, স্বর্গশূলিও চমৎকার!
উদয়পুর: সাদা শহর। আরাবল্লি পাহাড়ের কোলে সরোবর ঘেরা সূর্যোদয়ের শহর। এখানে দেখার অনেক কিছু। তার মধ্যে সিটি প্যালেস, পিছোলা লেক, সহেলিয়াঁ কি বাড়ি, সজ্জনগড় ইত্যাদি দারুণ লাগবে। ৪০ কিমি দূরে হলদিঘাটি। কুম্ভলগড় ৮৪ কিমি। রণকপুর ৯০ কিমি। তবে দেড়-দু’ ঘণ্টার জার্নিতে পৌঁছনো যায় চিতোরগড়ে। রাজপুতানার ইতিহাসে বীরগাথা আর প্রেমের কাহিনি ছড়িয়ে রয়েছে এখানে। এখানেই আছে মীরা বাইয়ের কাহিনি। রাজপুত মহিলাদের জহরব্রতর কাহিনিও।
মাউন্টআবু: রাজস্থানের দার্জলিং। সারা বছরই ঠান্ডা। রয়েছে নাক্কি লেক। কাছেই দিলওয়ারা জৈন মন্দির। এই মন্দির দেখা সারা জীবনের অভিজ্ঞতা। চমৎকার বললেও কম বলা হয়! কাছেই সানসেট পয়েন্ট। জায়গাটা অপূর্ব!
রাজস্থান একবার গেলে বার বার যেতে ইচ্ছে করবে। এমনই টান! আরও অনেক জায়গা রয়েছে বেড়ানোর। যেমন— ভরতপুর, রণথম্বর ইত্যাদি।
কোথায় থাকবেন: রাজস্থানে সর্বত্র প্রচুর হোটেল। সরকারি জায়গায় থাকতে হলে বুকিং করুন কলকাতা অফিস থেকে। ঠিকানা: কমার্স হাউস, দ্বিতল, ২ গণেশচন্দ্র আভেনিউ, কলকাতা- ৭০০ ০১৩। ফোন: ০৩৩ ২২১৩ ২৭৪০। ই মেল- kolkata@rtdc.in
