মধুমন্তী
আজ রাখি পূর্ণিমা। সাত থেকে সতেরো সকলেই মেতে ওঠেন এই দিনটাকে কেন্দ্র করে। তবে দিনের আসল গুরুত্ব কিন্তু অন্য কথাই বলে। কেউ বিশ্বাস করেন আজকের দিন শুধুই ভাই-বোনের। কিন্তু ইতিহাস ঘাটলে সামনে আসে অন্য তথ্য। ১৯০৫ সালে বাংলা ভাগ হওয়ার সময় এই উৎসবের আয়োজন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মানুষে মানুষে বন্ধুত্ব স্থাপনের জন্য। তবে সেই ভাবনা এখন তলানিতে গিয়ে মিশেছে।
শুধু তাই নয় রাখি উৎসবকে কেন্দ্র করে রমরমিয়ে শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার। পাড়ার মোড়ে মোড়ে সকাল থেকেই উদ্দাম চলছে মাইক বাজিয়ে গান সঙ্গে জল মিষ্টি আর রাখি বিতরন। রাজনৈতিক দলের এহেন প্রচারে মুখ খুললেন শিল্পী সমীর আইচ। গতকালই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি।
তিনি আজ জানান, “রাখি বলে নয়, মৃতদেহ অবধি ছাড়ছে না রাজনৈতিক দলগুলো। জন্ম-মৃত্যু থেকে তারমধ্যে যা কিছুই আছে সবকিছু এরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। মানুষের উৎসবের যে শতস্ফুর্ততা সেটাকেও রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে। তা আমরা দেখেই বুঝতে পারছি। সাধারণ মানুষের নিজেদের ভাব-আবেগ দেখানোর কোনও রাস্তা থাকছে না। এটা একটা খারাপ বার্তা দিচ্ছে সমাজকে। এই রাখি বন্ধনের উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ভাতৃত্বের বন্ধন তা বারাবারিতে পৌঁছবে।”
তবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলো এই ধরনের কাজ করছে বলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পরিস্কারভাবে যখন একটি রাজনৈতিকদল মৌলবাদী সমস্ত মন্তব্য করছেন তখন পাল্টা আরেকটি দল, সেও চেষ্টা করছে সেখান থেকে পথে নামবার। এই যে ক্ষমতার একটা খেলা চলছে যার মধ্যে সত্যিকারের কোনও রাজনীতি নেই আমি বলব অর্থনীতি আছে। ভোটে জেতার ব্যাপার রয়েছে। সংস্কৃতিগুলো নষ্ট করে দিচ্ছে। আজকাল একটা গণেশপুজো নিয়েও রাজনৈতিক দলের নেতারা মারপিট করেন। মানুষ আজ বাধ্য হচ্ছেন এইসব রাজনৈতিক দলের উৎসবে সামিল হতে। নইলে সে কখনও রাজনৈতিক ক্যাডারদের নজরে পড়ে যাবেন এবং তাঁর ওপর অত্যচার নেমে আসবে। সেই ভয়ে মানুষ আতঙ্কিত। রাখি উৎসব বন্ধুত্বের জায়গায় নেই, শত্রুতা বেড়ে যাচ্ছে।”
তাই রাখি নিয়ে এই রাজনীতি কী বার্তা দেবে সামজে! উঠছে প্রশ্ন।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন