ঈষাণিকা ভোরাই
বিজেপির হিন্দুত্বের মোকাবিলায় এবার কি তবে নরম হিন্দুত্বের পথে হাটতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস ? তৃণমূল নেত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতৃত্বের সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্ত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। ২০১১ ক্ষমতায় আসার পর থেকে নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের প্রতি অতিমাত্রায় তোষোণের নীতি নিয়েছিলেন তিনি, এমন অভিযোগ করে আসছে বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। ইমাম ভাতা থেকে শুরু করে নতুন হজ হাউস নির্মাণ; সেই সম্প্রদায়ের মন জয়ের চেষ্টা চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার। ভোটবাক্সে তার ফলও পেয়েছেন তিনি। এই জায়গাতেই তাকে আক্রমণ শুরু করে বিজেপি। মুসলিম তোষোণের অভিযোগ তুলে উগ্র হিন্দুত্বের প্রচার শুরু করে তারা। সাম্প্রতিক কিছু ভোটে তার সুফলও ঘরে তোলে রাজ্য বিজেপি। ফলে টনক নড়ে তৃণমূল নেত্রীর। সামনে পঞ্চায়েত ভোট বা তার পরবর্তী লোকসভা ভোটে হিন্দু ভোট যাতে পুরোপুরি বিজেপির দিকে চলে না যায়, তাই এবার কৌশল বদল নেত্রীর। প্রথমে অনুগত বীরভূম সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কে দিয়ে ব্রাহ্মণ সম্মেলন করা তারপর কোথাও পুরোহিত সম্মেলন কোথাও শিবের মূর্তি বা কোথাও হনুমানের মূর্তি প্রতিষ্ঠা – রাজ্য জুড়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা যেন হঠাৎ করেই বিজেপি হিন্দুত্বের অস্ত্র কেড়ে নিতে রাতারাতি সব হিন্দু ভক্ত হয়ে উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ কাজে সবার আগে ছুটছেন। তাই গঙ্গা সাগরে কপিলমুনির আশ্রম পুজো দেওয়া হোক বা পাথর চাপড়ির কালী মন্দির দর্শন করতে হচ্ছে তা৺কে। ছয় বছরের শাসনকালে একবারও সুযোগ না হলেও অবশেষে সোমবার তিনি পৌঁছে গেলেন মায়াপুরের ইসকনের মন্দিরে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী আসার একদিন আগেই মায়াপুর শহর জুড়ে মিছিল করলো জেলা তৃণমূল। মিছিলের স্লোগান ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, “কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল ঘরে ঘরে”। হিন্দুত্বকে আঁকড়ে ধরে বিজেপির উত্থান আটকাতে কৃষ্ণ নামে নরম হিন্দুত্বের পথে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে তৃনমূল ক়গ্রেস, এমনটাই অভিযোগ বিজেপিসহ বিরোধীদের। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এসব অভিযোগে কর্ণপাত করতে রাজি নয়। তাদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রী কোন জাতপাতের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন, সর্বধর্ম সমন্বয় তার পথ আর সেই পথেই তিনি চলেন।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan