চ্যানেল হিন্দুস্থান, নিউজ ডেস্ক:
পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ ততই বাড়ছে। অনুগামীরা টিকিট না পাওয়ায় দলের বিরুদ্ধেই রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভোলবদল করলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার নেওয়ার আগেই মমতার হস্তক্ষেপে সেটা মেটার ইঙ্গিত মিলল। দলের জেলা সভাপতি এবং ব্লক সভাপতিরা টিকিট এবং প্রতীক বণ্টনের ক্ষেত্রে বিধায়কদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। এই অভিযোগে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir), নওদার বিধায়ক শাহিনা মমতাজ বেগম, রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী ও জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক একদিন আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন।
শীর্ষ নেতৃত্বকে একপ্রকার চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়ে দেন, জেলা সভাপতিদের না সরানো হলে তারা দলের বিরুদ্ধেই পথে নামবেন। প্রকাশ্যে সাংবাদিক বৈঠকে দলের চার বিধায়কের এই বিস্ফোরণে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়তে হয় মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলকে।
এরপরই আসরে নামে তৃণমূলের শীর্ষ-নেতৃত্ব। ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে দূত হিসাবে হুমায়ুনের কাছে পাঠান মমতা। নিজেও মিনিট পাঁচেক তার সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী। বুধবার সকালে নেত্রীর দূত হিসাবে বহরমপুর যান রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। তার সঙ্গে কথা বলার পরই নিজের অবস্থান থেকে সরে এলেন ভরতপুরের বিধায়ক।
হুমায়ুন জানিয়ে দিলেন, দলের জেলা সভাপতিদের সরানো নিয়ে যে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি তিনি দিয়েছিলেন আপাতত সেটা প্রত্যাহার করছেন। সম্মিলিতভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (WB Panchayat Election 2023) দলের প্রার্থীদের জেতাতে চান তিনি।
এদিন সকালে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারেও নামতে দেখা যায় তাকে। বুধবার দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নিজের ভারতপুর বিধানসভা এলাকার সালারে একটি মিছিল করেন হুমায়ুন।
সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভোটের পর তার সব দাবিদাওয়া শোনা হবে এবং তাকে কোনওভাবে বঞ্চিত করা হবে না। হুমায়ুন জানিয়েছেন, ভোটের পর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে অবহেলিত কর্মীদের দাবি নিয়ে আলোচনায় বসবেন তিনি।