নীল বণিক :
১৯৪৫-এ বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে তা কখনই কেন্দ্রের মত নয় বলে জানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কলকাতার বাসিন্দা সায়ক সেনের আরটিআইয়ের জবাবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জবাব দেয় ১৯৪৫ সালে তাইহুকুর বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু হয়। এরপরেই দেশ জুড়ে তৈরি হয় বিতর্ক। যদিও এই বিতর্কে বিজেপিকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর মতে এই তথ্য সঠিক তা সরকারও মনে করে না। আরটিআইয়ের উত্তর দিয়েছে সরকারি কর্মচারীরা। তাঁরা রেকর্ড ঘেঁটে তার উত্তর দিয়েছেন। কমিশনগুলির দেওয়া রিপোর্ট অনুয়ায়ী এই রিপোর্ট দিয়েছেন সরকারি অফিসারেরা। প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন। তিনি ফিরলেই এই রিপোর্ট কীসের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে তা জানতে চাইবেন বলে জানান কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তবে নেতাজির মৃত্যু নিয়ে বিজেপি বাংলাতে রাজনীতি করেনি। তাই এই তথ্যে বাংলাতে বিজেপির লাভ-লোকসানের কোনও ব্যাপার নেই বলেও জানান তিনি। অন্য দিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, কংগ্রেস আমলেও অনেকেই আরটিআই করেছেন। কংগ্রেস সরকার তার কোন তথ্য দেয়নি। তথ্য দিয়েছেন সরকারি আমলারা। কীসের ভিত্তিতে এই তথ্য তা নিশ্চয় সরকার জানতে চাইবে। কমিশনগুলির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যদি এই রিপোর্ট দেওয়া হয়ে থাকে সেই কমিশন কোন সরকারের আমলে এই তথ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পড়েছে তা-ও জানতে হবে। তাহলেই অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করেন দিলীপ ঘোষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট সঠিক বলে মনে করেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে নেতাজির এই রিপোর্ট নিয়ে বাংলাতে বিরোধীদের রাজনীতি বিজেপির পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না বলেও জানান তিনি।
নেতাজি মৃত্যু রহস্যে কেন্দ্রের এই উত্তরের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ। তিনি জানান, অবিলম্বে কেন্দ্রকে এই জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। গোটা দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রচার করেছিলেন ক্ষমতায় আসার পর নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য প্রকাশ্যে আনবেন। তাহলে এতদিন কেন দফতরের এই রিপোর্ট প্রকাশ করেননি।