নীল বণিক
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গো-রক্ষক বাহিনীকে কড়া আক্রমণ করেছিলেন। তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় সংগঠনটির নামের সঙ্গে মিলিয়ে বলেছিলেন, ‘ গো-রক্ষক না গো-তক্ষক?’ গো-রক্ষার নামে যেসব হামলার খবর এসেছে, তারই ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী এভাবে আক্রমণ করেছিলেন সংগঠনটিকে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও গোসেবার নামে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না বলে ঘোষণা করেছিলেন।
এ হেন গো-রক্ষা বাহিনীর সর্বভারতীয় নেতা এখন মমতার শহর কলকাতায়। সংগঠনের সর্বভারতীয় নেতা আশু মুঙ্গিয়া নবান্নের অনতিদুরে ঘাঁটি গেড়েছেন গত দু’দিন ধরে। বিগত দুদিন ধরে হাওড়াতে রাজ্যের সবকটি জেলাকে নিয়ে বৈঠক করেছেন রাজ্য গো-রক্ষা সেলের কর্মকর্তারা। মুঙ্গিয়া দিল্লি থেকে এসে, দুদিন ধরে হাওড়া ও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেআইনি কষাই খানার ছবি তুলে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় বেআইনিভাবে কষাই খানা চলছে রাজ্যে। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার ‘গোমাতাকে’ হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সর্বভারতীয় এই নেতার। তাঁর আরও অভিযোগ, শাসক দলের নেতাদের সম্পূর্ণ মদতেই রাজ্যে গো- হত্যা হচ্ছে। গো-হত্যা বন্ধ করতেই রাজ্য সফরে তাঁর আসা বলে জানান আশু মুঙ্গিযা। তাঁর পরামর্শেই রবিবার থেকে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যের বিভিন্ন থানাতে ডেপুটেশন দিতে যাবেন রাজ্য গো-সেলের নেতারা। থানাতেও বেআইনি ভাবে চলা কষাই খানা গুলির ভিডিও ফুটেজ জমা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হবে। তারপরেও কাজ না হলে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি আদালতে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আশু মুঙ্গিযা।
গো-রক্ষকদের এই পরিকল্পনা কপালে ভাঁজ ফেলেছে পুলিশেরও। তারা এখন আশু মুঙ্গিযাকে কড়়া নজরে রাখছেন।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan