দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় :
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দিদি’ বলা ছেড়ে দিলেন মুকুল রায়। হিসেব মত মুকুল রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে এক বয়সে বছরের বড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৫৫ সালে আর মুকুল রায়ের ১৯৫৪। যদিও বা মমতা তাঁর অতি ব্যক্তিগত আড্ডায় বলেন, যে তাঁর বয়েস সম্পর্কে যে তথ্য সরকারিভাবে আছে তা সঠিক নয়। তাঁর বক্তব্য স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় তাঁর জন্মসাল ভুল দেওয়া হয়েছিল। তাঁর চেয়ে পাঁচ বছরের বড় দাদার সঙ্গে তাঁকেও স্কুলে ভর্তি করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ভুল করে তাঁর দাদা ও তাঁর নিজের জন্মসাল একই লেখা হয়েছিল। সেই হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর বয়েস আরও পাঁচ কম। অর্থাৎ মুকুল রায় তাঁর চেয়ে বয়সে ছয় বছরের ছোট। তবুও এতদিন মমতাকে দিদিই বলতেন মুকুল। ঠিক দিদি নয়, বলতেন মমতা দি। অন্ততঃ প্রকাশ্যে তো বটেই। সৌগত রায়, শিশির অধিকারি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত কয়েকজন বাদে দলের সব নেতাই মমতাকে দিদি বলেন। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ হয়ত মমতার চেয়ে কিছু বড়। অনেকে আছেন যাঁরা আগে, অর্থাৎ, যখন মমতা আজকের মমতা হয়ে ওঠেন নি তখন তাঁকে নাম ধরেই ডাকতেন। পরে ‘দিদি’ বলা অভ্যাস করে নিয়েছেন। দলনেত্রীকে সম্মান প্রদর্শন, দলীয় অনুশাসন ইত্যাদি অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে মুকুল এখন এইসব কারণের বেড়াজাল থেকে মুক্ত। হোলির দিন কাঁচড়াপাড়ায় নিজের বাড়িতে মুকুল বলেওছেন, “দোল বা হোলি মানে যা কিছু জীর্ণ, পুরাতন তা বিদায় করে নতুনকে বরণ করে নেওয়া।” এই সময়ই মুকুল সম্ভবত নিজেকেও আর একবার নতুন করে নিলেন! মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুকুল এদিন বলেন, “মমতা এখন বুদ্ধদাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। … মমতা কেক পাঠাচ্ছে… ইত্যাদি। পুরনো অভ্যাস নেড়া পোড়ার আগুনে জ্বালিয়ে এই বসন্তে নতুন আমের মুকুলের মতোই তিনিও যেন নতুন মুকুল! গৈরিক রঙ্গে রঞ্জিত হয়ে মমতাকে মমতা বলে উল্লেখ করে মুকুল বুঝিয়ে দিলেন, মমতা এখন আর পাঁচটা রাজনৈতিক নেতার মতোই একজন নেতা বা নেত্রী মাত্র।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan