নিজস্ব সংবাদদাতা
পঞ্চায়েতে মমতা কী সিপিএমকে পাশে পেতে চাইছেন! রাজ্যে বামেদের দিন আপাতত চলে গেলেও, যেটুকু আলো এখনও রয়ে গেছে, সেই আলোকে (পড়ুন লোকবল) কী কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা!
তাঁর আগবাড়িয়ে ত্রিপুরায় বামেদের সম্ভাব্য পতনে দুঃখপ্রকাশ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্বদেব ভট্টাচার্যের স্বাস্থ্য বা তাঁর বাসস্থানের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে একপ্রকার অযাচিতভাবেই উৎসাহ প্রদর্শন দেখে তাঁর নিজের দলের মধ্যেই এমন ধারণা জন্ম নিচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, মুকুল রায়ের হাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্ব বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার পর, মুখে না বললেও তৃণমূলের মাথাব্যথা বেড়েছে। ২০০৮- এ, যখন থেকে রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের গ্রাফ ওপর দিকে উঠতে শুরু করে, সেই বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুকুলের ভূমিকা মমতা জানেন। তাই উল্টোদিকে থেকে, হাতে নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়ে মুকুল কি করতে পারেন, তা আন্দাজ করতে মমতার অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। মমতা জানেন, যেভাবে নিয়ম করে নিচু তলার কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে তাতে পঞ্চায়েতে ব্যথা আছে। যে কোনও নির্বাচনই শেষ পর্যন্ত একটা একদিনের ম্যাচ। ওইদিন প্রত্যেকটি বুথে নিজেদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে হয়। শক্তিরও। ফলতঃ মুকুল যদি নিয়ম করে নিচুতলার কর্মীদের নিজের দিকে টেনে নিয়ে যান তাহলে নির্বাচনে মাঠের লড়াইতে কমজোর হয়ে পড়া অসম্ভব নয়। তাছাড়া বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে সিপিএম -টিএমসির অবস্থান কার্যতঃ সমান।
তাই মুকুলকে ঠেকাতে মমতা পাশে সিপিএমকে চাইছেন বলেই অনেকের ধারণা। তাই তাঁর এই বামপ্রীতির প্রদর্শন!
উল্টোদিকে মমতার এই বামপ্রীতিকেই ইস্যু করতে চাইছেন মুকুল। গ্রাম বাংলায় সিপিএমের ‘অত্যাচার-অনাচার’ কে মূলধন করেই বামেদের গ্রামের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়ে ছিলেন মমতা। সাধারণ মানুষ সিপিএমের বিরুদ্ধে একটি বিশ্বাসযোগ্য শক্তি মনে করেই মমতাকে ক্ষমতায় এনেছিলেন (আরও অনেক ফ্যাক্টর ছিল)। ‘কৃষক মেরে কৃষক প্রেম
শেম শেম সিপিএম’ স্লোগান তুলে গ্রামের মানুষের মন জিতে নেওয়া মমতার এ হেন ‘বুদ্ধপ্রেম’ সাধারণ মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চাইছেন মুকুল। বৃহস্পতিবার, দুর্গাপুরে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুকুল বলেন,”সিপিএমের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও তফাৎ আর নেই। তিনি এখন বুদ্ধদা’র স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবেন, তিনি সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে আছেন। মমতা আর সিপিএম এখন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।” মমতা কী সিপিএমকে পাশে পেতে চাইছেন! রাজ্যে বামেদের দিন আপাতত চলে গেলেও, যেটুকু আলো এখনও রয়ে গেছে, সেই আলোকে (পড়ুন লোকবল) কী কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা!
তাঁর আগবাড়িয়ে ত্রিপুরায় বামেদের সম্ভাব্য পতনে দুঃখপ্রকাশ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্বদেব ভট্টাচার্যের স্বাস্থ্য বা তাঁর বাসস্থানের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে একপ্রকার অযাচিতভাবেই উৎসাহ প্রদর্শন দেখে তাঁর নিজের দলের মধ্যেই এমন ধারণা জন্ম নিচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, মুকুল রায়ের হাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্ব বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার পর, মুখে না বললেও তৃণমূলের মাথাব্যথা বেড়েছে। ২০০৮- এ, যখন থেকে রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের গ্রাফ ওপর দিকে উঠতে শুরু করে, সেই বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুকুলের ভূমিকা মমতা জানেন। তাই উল্টোদিকে থেকে, হাতে নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়ে মুকুল কি করতে পারেন, তা আন্দাজ করতে মমতার অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। মমতা জানেন, যেভাবে নিয়ম করে নিচু তলার কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে তাতে পঞ্চায়েতে ব্যথা আছে। যে কোনও নির্বাচনই শেষ পর্যন্ত একটা একদিনের ম্যাচ। ওইদিন প্রত্যেকটি বুথে নিজেদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে হয়। শক্তিরও। ফলতঃ মুকুল যদি নিয়ম করে নিচুতলার কর্মীদের নিজের দিকে টেনে নিয়ে যান তাহলে নির্বাচনে মাঠের লড়াইতে কমজোর হয়ে পড়া অসম্ভব নয়। তাছাড়া বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে সিপিএম -টিএমসির অবস্থান কার্যতঃ সমান।
তাই মুকুলকে ঠেকাতে মমতা পাশে সিপিএমকে চাইছেন বলেই অনেকের ধারণা। তাই তাঁর এই বামপ্রীতির প্রদর্শন!
উল্টোদিকে মমতার এই বামপ্রীতিকেই ইস্যু করতে চাইছেন মুকুল। গ্রাম বাংলায় সিপিএমের ‘অত্যাচার-অনাচার’ কে মূলধন করেই বামেদের গ্রামের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়ে ছিলেন মমতা। সাধারণ মানুষ সিপিএমের বিরুদ্ধে একটি বিশ্বাসযোগ্য শক্তি মনে করেই মমতাকে ক্ষমতায় এনেছিলেন (আরও অনেক ফ্যাক্টর ছিল)। ‘কৃষক মেরে কৃষক প্রেম
শেম শেম সিপিএম’ স্লোগান তুলে গ্রামের মানুষের মন জিতে নেওয়া মমতার এ হেন ‘বুদ্ধপ্রেম’ সাধারণ মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চাইছেন মুকুল। বৃহস্পতিবার, দুর্গাপুরে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুকুল বলেন,”সিপিএমের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও তফাৎ আর নেই। তিনি এখন বুদ্ধদা’র স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবেন, তিনি সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে আছেন। মমতা আর সিপিএম এখন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।”
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan