দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় :
চলতি সপ্তাহের শণিবার যদি কোনও কারণে না হয় তাহলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে অবশ্যই বিজেপির খাতায় নাম লেখাচ্ছেন মুকুল।
বিজেপি ও সঙ্ঘের তরফে এটাই সাম্প্রতিকতম খবর।
বিজেপির জার্সি এখনও গায়ে না তুললেও মানসিকভাবে মুকুল এখন বিজেপিরই একজন। প্রশ্ন হল গত শণিবার যে যোগদান হয়ে যাওয়ার কথা সেই যোগদানে কেন এত বিলম্ব!
সঙ্ঘের শীর্ষ সুত্র জানাচ্ছে, দু’দিক সামলাতে এত সময় লেগে গেল। দু’দিক বলতে বিজেপির রাজ্য নেতাদের যাতে অসম্মান না হয় আবার একই সঙ্গে নেতা ও সংগঠক হিসেবে মুকুল রায়ের সম্মানেও যাতে আঘাত না লাগে। রাজ্য বিজেপির একটি অংশের মুকুলের ব্যাপারে আপত্তি ছিল প্রথম থেকেই। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যখন তাঁদের কাছে জানতে চান সংগঠন গড়ে তোলা ও নির্বাচন ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারে তাঁরা কতটা ফলপ্রসূ হতে পারবেন! এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর কোনও রাজ্য নেতার কাছেই ছিল না।
এরপর আসে আরও একটি বিষয়। মুকুলের ‘পোজিশনিং’। কিভাবে, দলের কোন স্তরে তাঁকে রাখা হবে!
সর্বভারতীয় রাজনীতির অভিজ্ঞতা মুকুলের দীর্ঘদিনের। তিনি দীর্ঘ সময়ের সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এমনকি রেলমন্ত্রী। ফলত তাঁকে দলে নিতে গেলে উপযুক্ত পদমর্যাদা দিয়েই নিতে হবে। সম্মান যেমন একটা বিষয়, একই সঙ্গে তাঁর জন্য কাজের পরিবেশ ও পরিধি করে দেওয়াটাও জরুরী। সেই কারণে দলে তাঁর অবস্থান নির্ধারণ করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ওপরে তাঁকে রাখা যাবে না আবার আরও পাঁচজন সহসভাপতির মত রাখাও তাঁকে সম্ভব নয়। তাছাড়া তাঁকে সর্বভারতীয় স্তরে কাজে লাগানোর ভাবনাও বিজেপির আছে। তাই তাঁকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেওয়াই যুক্তিসম্মত বলে মনে করেছেন বিজেপির বর্তমান পরিচালকরা।
এইসব যদি-কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে যেমন সময় গেছে, তেমনই অমিত শাহের গুজরাত ও হিমাচলে ব্যস্ততাও বিলম্বের বড় কারণ।
আপাতত যা খবর, সবদিক সামলে যা ঠিক হয়েছে তা থেকে বলা যায় আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পদ্ম-পতাকা হাতে নিচ্ছেন মুকুল।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan