ঈষাণিকা ভোরাই:
সত্যিই খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়!
পারিবারিক সমস্যা যে তাঁকে এই অবস্থায় এনে ফেলবে তা বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। ভাববেনই বা কী করে! এত ক্ষমতা তার। রাজ্যের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী তিনি, সেই সঙ্গে কলকাতার মেয়রের মতো অত্যন্ত মর্যাদার পদে আসীন। আবার দলীয় ভাবে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতির দায়িত্বও সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। এ হেন শোভন; তৃণমূল নেত্রীর আদরের ‘কানন’ কিনা অনুপস্থিত দলের কোর কমিটির বৈঠকে। শোনা যাচ্ছে বৈঠক চলাকালীন তিনি নাকি বসেছিলেন কলকাতা করপোরেশনে তার নির্দিষ্ট ঘরে। এও শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই জেড প্লাস নিরাপত্তা সরানো হয়েছিল শোভনের। এবার কি বাকি সব পদ থেকেও তাঁকে হটানোর কাজ শুরু হয়েছে! জল্পনা কিন্তু সেটা নিয়েও। দলীয় সূত্রে খবর শোভনের পারিবারিক অসন্তোষ এইভাবে বাইরে চলে আসায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি নাকি বলেছেন, শোভনের ঘটনায় দলীয় ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে; জনমানসে ভুল বার্তা যাচ্ছে। নারদা কাণ্ডে নাম জড়ানোর পরেও আদরের কাননের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা, তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠানো এবং এইসব খবর প্রকাশ্যে চলে আসায় দলনেত্রীও আর তার পাশে দাঁড়াতে চাইছেন না। শোভনের এই অশোভন আচরণই তাঁকে ঠেলে দিয়েছে ব্যাকফুটে। তবে শোভনকে একেবারে ছেঁটে ফেলতেও পারছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তিনটি দপ্তরের মন্ত্রিত্ব, কলকাতার মেয়র পদ, এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতির মতো এত গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে একসঙ্গে সরিয়ে দেওয়াটাও অসুবিধা। ফলে দল ও দলনেত্রীর মনোভাব বুঝে শোভন যদি নিজে থেকে সরে যান তাহলে সেটাই হবে দু পক্ষের কাছে শোভনীয়। দলের কারো কারো মত কিন্তু এটাই। তবে শোভন বিরোধী একটা অংশ মনে করছে শোভনের নিষ্ক্রমণ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মত একটা গুরুত্বপূর্ণ জেলার জেলা সভাপতিকে সরানোর মতো পদক্ষেপ দলনেত্রী নেবেন কিনা সেটাই এখন দেখার।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan